একদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং অন্যদিকে ছাত্র ধর্মঘট।
যাদবপুর ইস্যুতে সোমবার, ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। গোটা রাজ্যজুড়ে কলেজ ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই মূলত এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না তো?
এরই মাঝে SFI নেতৃত্ব এবং কর্মীরা জানিয়ে দেন যে, ধর্মঘট হবে কলেজ ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইসঙ্গে তারা বলেন, রাস্তায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাহায্যের জন্যও এসএফআই প্রস্তুত। সেই একই কথা শোনা যায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলাতেও।
আর এদিন সকাল থেকেই একাধিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। প্রথমেই চলে যাওয়া যাক মেদিনীপুর কলেজে। সেখানে কার্যত, তৃণমূল বনাম এসএফআই খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা ধর্মঘট ভাঙতে এলে, কার্যত তাদের দিকে তেড়ে যান মহিলা SFI কর্মীরা।

অন্যদিকে, কলকাতার যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং চলে। সেইসঙ্গে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে কার্যত, বসে পড়েন এসএফআই সমর্থকরা। আর যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সামনে একেবারে একটি অভিনব ছবি ধরা পড়ে। দেখা যায়, কয়েকজন এসএফআই সমর্থক স্কুলের বাইরে বসে থাকা কয়েকজন অভিভাবকের কাছে যান। তখন ভিতরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সেই এসএফআই কর্মীরা তাদের গিয়ে বলেন, যে কোনও সাহায্যের জন্য তারা আছেন এবং অভিভাবকরা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউনিয়ন রুমটি বসবার কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য একাধিক ক্যাম্পাস থেকে এদিন বিচ্ছিন কিছু ঘটনার খবর সামনে আসে। অন্যান্য বেশ কিছু বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও বচসা বাঁধে তৃণমূলের। তবে এসএফআই নেতৃত্বের দাবি তাদের ডাকা এই ধর্মঘট সফল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
