সংক্ষিপ্ত

উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সব কাউন্সিলরই উপস্থিত ছিলেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক।

 

কুণাল ঘোষের ছায়া থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা রয়েছে দলের ওপর মহলের। আর এই অন্তর্ঘাত রুখতেই শুক্রবার কলকাতার একটি নামী হোটেলে দলের সব কাউন্সিলরদের নিয়ে ম্যারাথন বৈছক করেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম।

উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সব কাউন্সিলরই উপস্থিত ছিলেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক। কলকাতার কাউন্সিলরদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি দলের বিধায়কদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতেও পরামর্শ দিয়েছেন। এই বৈঠকেই তিনি স্পষ্ট করে দেন প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকেই জিততে হবে।

এদিনের বৈঠকে ফিরহা কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন. প্রত্যেকেই ১০০ শতাংশ কাজ করছেন। কিন্তু তারপরেও যদি কারও মনে কোনও সন্দেহ থাকে বা কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনও সব ঝেড়ে ফেলুন। ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভোট। ভোটের কথা মাথায় রেখে নিজেদের মধ্যে সমস্যা ভুলে একজোট হয়ে কাজ করার পরামর্শও দিয়েছেন ফিরহাদ। যদিও ফিরহাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন প্রত্যেক কাউন্সিলরের কী কী দায়িত্ব, দলের জন্য কে কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

যদিও তৃণমূল সূত্রের খবর বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের রক্তদান শিবিরে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। যদিও তাঁকে পদথেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দলের ওপরতলার নেতারা অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন। কারণ তাপস রায় কলকাতার প্রভাবশালী নেতা। কলকাতা বিশেষত উত্তর কলকাতার রাজনীতি তাঁরে হাতের তালুর মতই চেনা। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করেছেন তাপস। দলের কর্মীদের একাংশ তাঁর দিকে ঝুঁকতে পারেন। এই আশঙ্কা দূর করতেই কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র।