সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের বিরোধীরা রাজ্যের অন্দরে বারবার বলে এসেছেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানি’-র নাম। ২০১৩ সালে যে অভিযোগ করেছেন বাম নেতা গৌতম দেব, ২০২৩ সালে সেই একই অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই কোম্পানি-তেই কি লুকিয়ে আছে আসল রহস্য?
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করেছেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত ‘কালীঘাটের কাকু’ তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এভাবেই দুর্নীতির গ্রেফতারি পৌঁছে গেছে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটের অন্দরে। এই সুজয়কৃষ্ণই স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, তিনি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন বলে তাঁর দিকে বিরোধী তথা তদন্তকারীদের নজর পড়েছে। এখন কথা হল যে, এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানিটির নাম একেবারে প্রথমে রাজনীতির অন্দরে এনেছিলেন বাম নেতা গৌতম দেব, সেটা ছিল ২০১৩ সাল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, এই কোম্পানির মাধ্যমেই শাসকদল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা দুর্নীতি করছেন। এরপর ঠিক দশ বছর পর, ২০২৩ সালে এসে এই একই কথা আবার প্রকাশ্যে বললেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, যিনি ২০১৩ সালে নিজেও তৃণমূলের নেতা ছিলেন।
বাম নেতা গৌতম দেব দাবি করেছিলেন যে, ‘এই কোম্পানির মালিক স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এই কোম্পানির মাধ্যমে যদি দুর্নীতি হয়েই থাকে, তার দায় সম্পূর্ণ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের ওপরেই বর্তাচ্ছেন বিরোধী দলের নেতা। ২০২৩ সালে এসে সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর আবার ওই কোম্পানির নাম সামনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও একই দাবি করেছেন যে, এই কোম্পানির CEO হলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোম্পানির নাম ও ঠিকানা টুইট করে তিনি সংস্থার সমস্ত পরিচালকদের নামের একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছেন। এই তালিকায় রয়েছে, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম। উল্লেখ্য, এই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা এবং লতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অভিষেকের স্ত্রী। অর্থাৎ, শুভেন্দু অধিকারীর প্রধান বক্তব্য হল যে, এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানি’, যেটি দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেটিতে প্রধান ভূমিকায় কাজ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা।
শুভেন্দুর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি চাঞ্চল্যকর পালটা দাবি তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘যদি সত্যিই কোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই কাঁথি পুরসভায় রেইড করে, সারদা কর্তার চিঠিটা সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, কাঁথি পুরসভায় সারদার টাকা ঢুকেছে, কি ঢোকেনি, এটা যদি প্রমাণিত হয়, যখন কলার ধরে এই অধিকারী ব্রাদার্সকে ধরে আনবে, সেদিন শুভেন্দুর বড় বড় কথা বেরিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন-
অধীর চৌধুরীর হস্তক্ষেপের পর কর্ণাটক থেকে বাড়ি ফিরছেন ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে জেলবন্দি থাকা পশ্চিমবঙ্গের দম্পতি
‘মোদীজি ঈশ্বরকেও বুঝিয়ে দেবেন যে ব্রহ্মাণ্ড কীভাবে চলে’, আমেরিকার সভা থেকে ফের সরব রাহুল গান্ধী
রাস্তার ধারে উলঙ্গ হয়ে বিক্ষত দেহে কাতরাচ্ছেন মানুষ, ‘জ়ম্বি ড্রাগ’-এর নেশায় ভয়ঙ্কর অবস্থা আমেরিকায়
আপনি কি সোজা হয়ে শুয়ে ঘুমোলে ভয়ের স্বপ্ন দেখে বোবা হয়ে যান? জেনে নিন এর থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়