সংক্ষিপ্ত
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু তাই নয় আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সেজে উঠল রাজভবন। একে প্রজাতন্ত্র দিবস তার উপর সরস্বতী পুজো। আল্পনায় সেজে উঠল গোটা রাজভবন। আজই রাজভনে অনুষ্ঠিত হতে চলছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি। বাংলা ভাষা শিক্ষার পথে প্রথম পদক্ষেপ। এর আগেই বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শুধু নিজে নয় পরিবারের সদস্যদেরও বাংলা শেখাতে চান তিনি। রাজ্যপালের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই আজ রাজভবনে 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু তাই নয় আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান রাজভবনে। এই দুই উৎসব উপলক্ষ্যে তুঙ্গে প্রস্তুতি রাজভবনে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। বাংলার প্রতি বাংলা ভাষার প্রতি নিজের অনুরাগের কথা বারবারই জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয় নিজেকে 'বাংলার দত্তক পুত্র' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বড়দিনেও বাংলায় বই লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষ উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল বলেছিলেন,'এই বাংলা সোনার বাংলা। এখানে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির বিস্তর চর্চা হয়।' শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প ও সেই গল্পের মুখ্য চরিত্র 'মিনি' কী ভাবে তাঁর মনে দাগ কেটেছে সে অনুভূতিও তিনি ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, 'বাংলার এই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই পরিচিত। আমাকে এই বাংলা বহু কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। '
বাংলা ভাষার প্রতি শুধু নিজের নয় পাশাপাশি নিজের পরিবারের বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগের কথাও জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন। চেহারায় মালয়ালি হলেও তিনি মন থেকে বাঙালি। তাঁর বাবা সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও,'বাংলা আজ যা ভাবে গোটা দেশ সেটাই ভাবে। আগামী দিনে এই বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।'
আরও পড়ুন -
গুগল ডুডলে মোদীর কর্তব্যপথ, গুজরাটি চিত্রশিল্পীর কাজে মুগ্ধ দেশবাসী