- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Hooghly School: ছাদ থেকে টুপটাপ করে পড়ছে বৃষ্টির জল, ছাতা মাথায় নিয়েই সরকারি এই বিদ্যালয়ে চলছে পড়াশোনা
Hooghly School: ছাদ থেকে টুপটাপ করে পড়ছে বৃষ্টির জল, ছাতা মাথায় নিয়েই সরকারি এই বিদ্যালয়ে চলছে পড়াশোনা
Hooghly News: টুপটাপ বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে স্কুল। মাথায় ছাতা ধরে তারই মধ্যে চলছে ক্লাস নেওয়া, পড়াশোনার কাজকর্ম। হুগলীর পাণ্ডুয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল পরিকাঠামো প্রকাশ্যে। দেখুন ফটো গ্যালারিতে…

বেহাল প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো
পাণ্ডুয়া পাঁচপাড়া প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা ছাতা নিয়ে! ছাদ থেকে পড়ছে প্লাস্টার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে লাটে উঠেছে শিক্ষা ব্যবস্থা। তোপ প্রাক্তন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের।
ছাতা মাথায় চলছে ক্লাস
ক্লাসরুমে ছাতা নিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। কারণ স্কুলের ছাদ টপকে পড়ছে জল এবং প্লাস্টার। তাহলে একে কি উন্নয়ন বলা যাবে, নাকি ছাত্রদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার? প্রশ্ন তুলে সরব খোদ ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক তথা প্রাক্তন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেন।
স্কুলের জরাজীর্ণ ছাদ
হুগলী জেলার পাণ্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচপাড়া প্রাইমারি স্কুল এখন শিক্ষা মন্দির নয়, বরং এক বিপদের ঘণ্টা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুলের জরাজীর্ণ ছাদ থেকে নিয়মিতভাবে প্লাস্টার খসে পড়ছে, যার ফলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রাণ সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ছাতা নিয়েই করাতে হচ্ছে ক্লাস
এমনকি শিক্ষাদানের সময় শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ছাতা নিয়ে ক্লাসে বসতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার পঞ্চায়েত ও শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শিক্ষা দফতরের গাফিলতির অভিযোগ
এদিকে শিক্ষা দফতরের এই গাফিলতির কারণে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, স্কুলের ছাদের যা অবস্থা তাতে অতিভারী বৃষ্টি হলে যেকোনও সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা পড়ুয়া থেকে শিক্ষক ও তাদের অভিভাবকদের মনে।
ক্ষুদ্ধ শিক্ষক-অভিভাবকরা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই বেহাল দশার কথা জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “আমরা বাধ্য হয়ে ছাতা নিয়ে ক্লাস নিচ্ছি। প্রতিদিনই ভয় থাকে, যদি হঠাৎ করে ছাদের কোনও অংশ ভেঙে পড়ে।” স্থানীয়রা বলেন, “যদি সময়মতো প্রশাসন সজাগ না হয়, তাহলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা শিশুদের প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে রেখে শিক্ষা চাই না।”
অবিলম্বে স্কুল মেরামতের দাবি
সূত্রের খবর, হুগলীর এই পাঁচপাড়া প্রাথমিক স্কুলের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৮ জন। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট চারটি ক্লাসরুম আছে, যার মধ্যে দুটি টিনের চালের ঘর। সেই ঘরের চালই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। চালভেদ করে জল পড়ছে। ভেসে যাচ্ছে ক্লাসরুম। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে স্কুলটি মেরামত করে নিরাপদ করা হোক, যাতে ছাত্রছাত্রীরা নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে।
পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা প্রশাসন
এদিকে স্কুলের এই বেহাল চিত্রের খবর প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি তুলে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। এরই মধ্যে বিডিও শেবন্তী বিশ্বাস জানান, ব্লক প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নজর রাখা হয়েছে।

