বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন মুর্শিদাবাদে। এক হুমায়ুন ঘনিষ্ঠের কথায় এরজন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা, বা তারও বেশি। অতিথির সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন মুর্শিদাবাদে। এক হুমায়ুন ঘনিষ্ঠের কথায় এরজন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা, বা তারও বেশি। পূর্ব ঘোষণা মতই শনিবার হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। ব্যবস্থাপনা ছিল এলাহী। রাজ্য তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিল ধর্মগুরুরা। শোনা যাচ্ছে প্রায় ৪০ জন বিশেষ অতিথি ছিলেন হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে।
বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মরাদিঘি এলাকায় বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান হয়। তারজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার অতিথির জন্য বিশাল ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শাহী বিরিয়ানি তৈরি করা হয়েছে। অর্ডার দেওয়া হয়েছে সাতটি কেটারিং সংস্থাকে। শুক্রবার থেকেই রান্নার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিশাল মঞ্চ
হুমায়ুন কবীরের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন মসজিদের শিলান্যাসের জন্য প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঞ্চ তৈরির জন্য খরচ করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। তেমনই দাবি করেছেন হুমায়ুনের এক ঘনিষ্ঠ। তিনি জানিয়েছেন, অতিথিদের শাহি বিরিয়ানি দেওয়া হবে। ৪০ হাজার প্যাকেট শাহি বিরিয়ানি ছাড়াও ২০ হাজার স্থানীয় মানুষের জন্য বিরিয়ানি তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ অনুষ্ঠান শেষে বিরিয়ানি বিলিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হুমায়ুন কবীর কোনও কথাই বলেননি। শোনা যাচ্ছেন অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়ার জন্যই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক
হুমায়ুন ও তাঁর ট্রাস্টের তরফে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকছে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য। যারমধ্যে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক শুক্রবার রাত থেকেই কাজ করছে। হুমায়ুন আগেই দাবি করেছিলেন, বেলডাঙায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অদূরে মরাদিঘি মোড়ের কাছে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে তিন লক্ষ মানুষ জড়ো হবেন। তবে প্রচুর মানুষ যে জড়ো হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


