India Pakistan Ceasefire: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে শনিবার বিকেল থেকে।
India Pakistan Ceasefire: বৈঠক থেকেই রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর। কার্যত, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে এবং বাহিনীর সম্ভাব্য উপস্থিতি সামাল দিতে কী কী প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নবান্ন (ceasefire broken by pakistan)।
কী কী নির্দেশ দেওয়া হল?
এই মুহূর্তে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে, গোটা রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে সচল থাকে, তা নিয়েও এদিন মুখ্যসচিব কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রেডিও, মোবাইল কিংবা অন্য যে কোনও যোগাযোগ মাধ্যম, কোনও ক্ষেত্রেই যেন কোনও ত্রুটি না থাকে। সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি (ceasefire break)।
প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এই নির্দেশ দ্রুত রূপায়ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, আগামীদিনে যাতে এই সংক্রান্ত ভুয়ো প্রচার সহজেই রোধ করা যায়, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ভুয়ো প্রচার তথা গুজবের কারণে অনেক বড়সড় কাণ্ড ঘটে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে নবান্ন (nabanna)
নবান্ন সূত্রে খবর, গুজব এবং ভুয়ো প্রচারকে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে বলেছেন মুখ্যসচিব
কোনওরকম স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া মাত্রই তা সঙ্গে সঙ্গে ডিজি কন্ট্রোল রুমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজির কন্ট্রোল রুমে যাতে কেবলমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদেরই রাখা হয়, সেই বিষয়টি প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকার কোনও তথ্য যাতে নজরের বাইরে না যায়, সেই বিষয়েও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে (ceasefire india pakistan meaning)। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও সবরকম প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা সেনাবাহিনী মোতায়েন হতে পারে, এই আশঙ্কায়ও কিন্তু রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া মোট ১০টি রাজ্যকে এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল একটি বৈঠকও করেছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, তারপরেই মুখ্যসচিব বৈঠক করে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে। একইসঙ্গে, বাহিনী মোতায়েন হলে তাদের থাকার এবং খাবারের ব্যবস্থা কেমন হবে, তা আগেভাগেই ঠিক করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সেই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট
রাজ্য সরকার চায়, প্রতিটি থানায় যেন কমপক্ষে ১৫-২০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট মজুত থাকে। যে কোনও ধরনের অপারেশন বা অশান্তির পরিস্থিতিতে এই জ্যাকেট পুলিশ এবং বাহিনীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, নজরদারি বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাদের এলাকায় কোনও সন্দেহভাজন বা বহিরাগতদের গতিবিধি দেখলেই নজরদারি বাড়াতে হবে।
ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনাররা যোগ দেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


