সংক্ষিপ্ত
একের পর এক রহস্য দানা বাঁধছে ঝাড়গ্রামের চিকিৎসকের আত্মহত্যা-কে কেন্দ্র করে। অনিচ্ছায় বিয়ে করা। তারপর মানিয়ে নেওয়ার হাজারও চেষ্টা ব্যর্থ। তার জেরেই কি আত্মহত্যা করেছেন দীপ্র ভট্টাচার্য? এমন প্রশ্ন সর্বত্র। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে ঝাড়গ্রামের মৃত চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যে পাঠানো শেষ মেসেজ থেকে।
স্ত্রীকে পাঠানে শেষ মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, তোর জন্য কিছু হয়নি… আমার শেষ ইচ্ছে, তুই আমাকে ভুলে যাস, নতুন করে জীবন শুরু করিস… যতদিন তুই সেটা করছিস, যতদিন না তুই মুভ অন করছিস, আমি শান্তি পাব না। আমার আত্মা শান্তি পাবে না। তোর জীবন সবে শুরু… অনেক কিছু করার বাকি আছে। হ্যাঁ আমি তোকে ভালোবাসতে পারিনি, পুরোটাই একটা চেষ্টা ছিল। আমি তোকে ঠকিয়েছি। আমি বিয়েটা করতে চাইনি। ট্র্যাপে পড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পারব। অনেক চেষ্টা করেছি, পারিনি।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে তাঁর বাড়িতেই থেকে যাওয়ার কথা বলেছিল দীপ্র। জানিয়েছিল, সমস্ত পাসওয়ার্ড কোথায় আছে। কীভাবে লোন পরিশোধ হবে। এই মেসেজ থেকে স্পষ্ট কোনও চাপের মুখে পড়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। কিন্তু, কী সেই বিষয় তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার ছিলেন দীপ্র। সে বেহালার বাসীন্দা। বৃহস্পতিবার পুজোর ছুটি কাটিয়ে ঝাড়গ্রাম ফেরে সে। তারপর বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তারপর ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুর এলাকার একটি লজের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দীপ্র ভট্টাচার্যের দেহ। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমস্যায় ছিলেন তিনি। সম্ভবত, সে কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।