সংক্ষিপ্ত

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার নথি এভাবে মুখের কথায় নষ্ট করা যায় কি?

 

একমাত্র মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) মুখের কথাতেই ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার সমস্ত ওএমআর শিট (OMR Sheet)নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) এজসালে জমা দেওয়া রেজোল্যুসনে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে প্রাথমিক বোর্টের নতুন অ্যাড-হক কমিটি রেজোল্যুশন জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। সা স্বাভাবিক আইন মেনে হয়নি।

নতুন অ্যাড-হক কমিটির রিপোর্টে মেনে নেওয়া হয়েছে যেভাবে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রাথমিক বোর্ডের এই রেজোল্যুশনে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কথা তৎকালীন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি বিচারাধীন বন্দি।

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, 'চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার নথি এভাবে মুখের কথায় নষ্ট করা যায় কি? কনফিডেনসিয়াল শেকশনে পাঠানো তথ্য এভাবে মুখের কথায় কীভাবে নষ্ট করা যায়? তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই?'

নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তকারী সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রায় আড়াই লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের মুখের কথায় নষ্ট করেছিল কনফিডেনসিয়াল সেকশন। ওএমআর হার্ড কপিও নষ্ট করা হয়েছে। যদিও তা রাখা হয় ডিজিটাল ফরম্যাটে। তথ্য জানার পরেই ডিজিটাইড ওমআর তলব করেছেন অমৃতা সিনহা। মামলাকারী টিনা মুখোপাধ্যায়ের ডিজিটাইজ ওএমআর আগামী ১৮ অগাস্টের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।