Kakdwip News: স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিল খোদ তৃণমূলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Kakdwip News: রাজ্যের শিক্ষকতায় ফের নৈরাজ্যের ছবি। ক্লাস চলাকালীন ঘাড় ধাক্কা খেলেন খোদ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। বিদ্যালয়েরই পরিচালন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, খোদ স্কুল শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার খবর চাউর হতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবক মহলে। 

কী অভিযোগ উঠেছে?

সূত্রের খবর, বিদ্যালয়ের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে স্কুলের বাইরে বের করে দিচ্ছেন স্কুলেরই পরিচালন কমিটির সভাপতি ত্রিদিব বারুই। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি ত্রিদিব বারুই হঠাৎ বিদ্যালয়ে এসে একটি কাগজে সই করে রিসিভ করে নেওয়ার দাবি জানান। সেই কাগজটি রিসিভ না করায় তাঁকে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সামনেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে টানতে টানতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ

কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি পাল আরও জানান, এই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েকবার তাঁর উপর অসঙ্গতিসম্পন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজকের ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, মহেশতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আকড়া শিমুলতলা এলাকায় পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা প্রথমে পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখে। এরপরই খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক মহেশতলা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর গভঃ কলোনীর ব্লক এ বাসিন্দা রাজেশ ঘোষ (২৮)। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে রাস্তায় জল জমে ছিল, রাস্তার একেবারে পাশেই পুকুর। বুঝতে না পেরে পুকুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। রাজেশ সাঁতার জানতো না। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সারা রাত বাড়ি ফেরেনি রাজেশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ থাকার জিডি করা হয় মহেশতলা থানায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা তরুণ সরকার বলেন, প্রায় সময় রাতে মহেশতলা থেকে মেটিয়াব্রুজের দিকে ডেলিভারি করতে পাঠানো হতো। 

সকালে সাড়ে ৯ টা নাগাদ কাজে যেত। রাতে আনুমানিক বারোটা সময় করে ফিরত। বেশি সময় কাজ করানোর জন্য বেশি বেতন দেওয়া হতো কিনা সেটা জানা যায়নি। সোমবার রাজেশের শেষ ডেলিভারি ছিল মেটিয়াব্রুজে। তাহলে কিভাবে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার হল এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।মৃত যুবক বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে। গত প্রায় সাত বছর ধরে ওষুধের ডেলিভারির কাজ করতো।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।