সংক্ষিপ্ত
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যা যা বলেছে খুবই নিন্দনীয়, গাড়ির হুটার সবাই বাজাতে পারে না
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও মনে করেন তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি, যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে ঝড়গা ইস্যুতে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তিনি আরও বলেন, 'অভিজিৎ কী করে বিচারপতি হয়েছেন তা তাঁর জানা নেই। যারা অভিজিৎকে জজ করেছিলেন তাদের প্রণাম, এরকম একটা লোককে বিচারপতি করার জন্য।' তবে এখানেই শেষ নয়, গাড়ির হুটার বাজান-সহ বাতি ব্যবহার নিয়েও একহাত নিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন সংসদের যৌথ কমিটির বৈঠকে তাঁর আর অভিজিতের কথা কাটাকাটির ঘটনাও। তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গেও ঝগড়া হয়েছিল অভিজিতের। তাই তিনি জানেন ঠিক কতটা বাজে কথা বলতে পারেন অভিজিৎ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যা যা বলেছে খুবই নিন্দনীয়, গাড়ির হুটার সবাই বাজাতে পারে না । দেশের কটা প্রধান চেয়ার আছে তাঁরাই বাজাতে পারে, যেমন চিপ অফ জাস্টিস ইন্ডিয়া. স্পিকার আর পুলিশ। তার ছাড়া কারো অধিকার নেই যে হুটোর বাজিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে। তিনি আরও বলেন, নীল বাতি নিয়ে রাজ্য সরকার একটি নিয়ম করেছে। সেই নিয়ম মেনেই রাজ্যের সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গাড়িতে চড়েন। তিনি আরও বলেন, লালবাতি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারে। তবে অভিজিৎ গাড়িতে বসেই ঝগড়া করেছেন। একবারও গাড়ি থেকে নামেননি। তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে কল্যাণ বলেন, অভিজিত সভ্যতা জানেন না। তবে অভিজিৎ বলেছেন, রাবুল সুপ্রিয়কে তিনি জেলে ঢোকাবেন। তার উত্তরে কল্যাণ বলেন, 'ওর যদি হিম্মত থাকে তাহলে করে দেখাক। আসলে আইনটাইন কিছু জানে না। একে ওকে ধরে জজ হয়েছিল। ও কীভাবে কুকথা বলতে পারে তা আমি জানি।'
বাবুল - অভিজিতের ঝগড়াঃ
তীব্র গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে হুগলি সেতুর ওপর দিয়ে চলেছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় তিনিও হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিজিতের গাড়ি এতটাই জোরে যাচ্ছিল যাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনই অভিযোগ করে অভিজিতের গাড়ির গতি নিয়ে আপত্তি জানান তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। অনেকে আবার জানিয়েছেন, অভিজিতের গাড়ি বাবুলের গাড়িকে ওভারটেক করতে চেয়েছিল। আর সেই জন্য একপাশে চেয়ে দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি। যদিও প্রথমে বাবুল বুঝতে পারেনি তীব্র জোরে যাওয়া গাড়িতে অভিজিতের। কিন্তু নীল বাতি লাগান গাড়িটিতে তিনি রাস্তাতেই থামতে বাধ্য করেন। । নীলবাতি লাগানো সেই গাড়ি থামিয়ে চালককে প্রশ্ন করার সময়ই বাবুল দেখেন, পিছনের আসনে বসে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।