সংক্ষিপ্ত

এবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল কিঞ্জল নন্দের শ্বশুরের বিরুদ্ধে! ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করল জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন

আরজিকর কাণ্ডের পর থেকে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন কিঞ্জল নন্দ। চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি। আরজিকরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদের আন্দোলনে প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই চিকিৎসকের শ্বশুরের বিরুদ্ধেই উঠে এল গুরুতর অভিযোগ। জুনিয়র চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন এবার কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধে হওয়া ১০ বছরের পুরান একটি মামলা সামনে এনেছে।

অ্যাসোশিয়েশনের দাবি, ২০১৪ সালে একটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয় কিঞ্জলের শ্বশুর চিকিৎসক প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানিও এখনও চলছে।

অ্যাসোসিয়েশন আরও দাবি করেছে যে, ২০১৪ সালের ১১ নভেম্ব প্রসন্ন বাবুর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছিল গড়িয়াহাট থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ডঃ প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় মামলা করে পুলিশ।

কিন্তু কী রয়েছে পুলিশি রিপোর্টে? জানা গিয়েছে, ১২৩এ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের এনজি মেডিকেয়ারের চিকিৎসাকেন্দ্রে এই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। । সেই সময় নাকি মামলাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্য। পরেআবার ২০১৫ সালের ৮ অগস্ট পুলিশ চার্জশিট জমা দেয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে।

এই ঘটনা সামনে আসতেই কিঞ্জলের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় অ্যাসোসিয়েশন, হয় শ্বশুর নইলে নির্যাতিতার বিচারের আন্দোলন যেকোনও একটা দিক বেছে নিতে হবে কিঞ্জল নন্দকে।

এর আগে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, "নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। আমাদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় ঘটে চলেছে, সেই অন্যায়ের জন্য যে মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হয়েছে সেটার একটি প্রমাণ বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।" তবে পরে এই শ্রীশের একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা যায়।