সংক্ষিপ্ত

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার দুর্গাপুজোর অনুদান বয়কট করল কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করার ওপর চাপ দিচ্ছিল। 

যত দিন যাচ্ছে আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে রাজ্য। ক্রমশই চাপ বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার দুর্গাপুজোর অনুদান বয়কট করল কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করার ওপর চাপ দিচ্ছিল। শেষপর্যন্ত পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবাদ করলে যদি পরের বছর পুজোর অনুদান না পাওয়া যায় তাতেও কোনও সমস্যা নেই। পুজো আটকাবে না। আগের মতই পুজো হবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি রবিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ এবার তাঁরা দুর্গাপুজোর অনুদান গ্রহণ করবেন না। শুধুমাত্র খাতায় কমলে সিদ্ধান্ত নিয়েই থেকে থাকেনি কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। তারা এই বিষয়ের কথা প্রতারও করেছে। টোটোয় মাইক লাগিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সিদ্ধান্তের কথা প্রচার করেছে। ফ্লেক্স লাগিয়েও অনুদান বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন উৎসব পরে আগে মহিলাদের নিরাপত্তা। যেসব মহিলারা ঘরে ও বাইরে কাজ করেন তাঁদের নিরাপত্তা ও সম্মান জরুরি। কিন্তু সেখানেই আঘাত করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে তাঁরা সরব হয়েছেন। আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলনও শুরু করেছেন নিজেদের মত করে। সেই আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবেই পুজোর অনুদান বয়কট করছেন তাঁরা।

এর আগে হুলগির আরও তিনটি ক্লাব আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর অনুদান বয়কট করেছিল। তিনটি ক্লাবই ছিল উত্তরপাড়ার। বলা যেতে পারে সেই আন্দোলন এবার উত্তরপাড়ার গণ্ডী ছাড়িয়ে কোন্নগরে পৌঁছে গেল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।