সংক্ষিপ্ত

মৃত যুবকের নাম কৃষাণু দাস ওরফে কেষ্ট। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। 

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার। মৃত যুবকের নাম কৃষাণু দাস ওরফে কেষ্ট। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। তাঁর বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি নিকটেই, রামপুরহাট থানার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামে।

২৪ ডিসেম্বর শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন কেষ্ট। কথা বলতে বলতে আচমকা চৌকিতে বসে থাকা অবস্থাতেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তখনই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ বছর আগে ২০১৯ সালে ২৯ জানুয়ারি রামপুরহাটে কৃষাণু দাসের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। ওই দিন কুসুম্বা গ্রামে তাঁর বাড়িতে এসে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় তিনি চাকরি পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে। রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত তথ্য সংস্কৃতি দফতরে তিনি কর্মরত ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি কুসুম্বা অঞ্চলে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন। অর্থাৎ, দলীয় ক্ষেত্রে বীরভূমে তাঁর গুরুত্ব ছিল যথেষ্ট।

তাঁর প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিদিন সকালে কেষ্ট আমাদের বাড়িতে আসত। চা খেতে খেতে অনেক আলোচনা হত। সেই মতো এদিনও এসেছিল। চৌকিতে বসে গল্প করছিলাম। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে কথা হচ্ছিল। কেষ্ট বলল এবার দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমি কেক দেব। বলতে বলতেই মাথা লটকে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।”


 

মাত্র তিন বছর আগে বৈবাহিক জীবন শুরু হয়েছিল যুব তৃণমূল নেতা কৃষাণু দাসের। বর্তমানে এক বছর বয়সী একটি শিশুপুত্রও রয়েছে তাঁর। সংসার জীবনের পাশাপাশি বীরভূম জেলার রাজনীতির ময়দানেও তাঁকে হারানোর ফলে অনেকটাই আঘাতপ্রাপ্ত হল শাসকদল তৃণমূল। শাসকদল তৃণমূলের হয়ে কুসুম্বা গ্রামের তরুণ যুবদের নেতৃত্ব দিতে তিনিই ছিলেন ঘাসফুল শিবিরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁর প্রয়াণের পর কোন নেতাকে দলের এই শূন্য পদে স্থানপূরণের জন্য নিয়ে আসা যায়, সেই বিষয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-
‘রাজ্যের মানুষ ভিখারি হয়ে গেছে’, দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
বড়দিনের আগেই পার্ক স্ট্রিটে মোতায়েন হচ্ছেন প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী, কলকাতা পুলিশের চূড়ান্ত তৎপরতা
‘বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’, কলকাতায় বসেই মানুষকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা লুঠছে জামতাড়া ‘গ্যাং’