- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মমতা! কী হতে চলেছে? জেনে নিন দারুণ খবর
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মমতা! কী হতে চলেছে? জেনে নিন দারুণ খবর
বছর ঘুরলেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফত এমনই খবর মিলছে। এই প্রসঙ্গে মিলেছে বিরাট আপডেট! দেখে নিন।

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। বিধানসভা ভোটের আগে ফের একবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় অনুদান বাড়তে চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভোটের বৈতরণী পার করতে এবারেও মমতা সরকারের বড় ‘তুরুপের তাস’ হতে পারে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে চমক আসছে?
একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অস্বস্তিতে থাকা তৃণমূল সরকারকে গদি থেকে সরাতে বিরোধীদের ধারালো হাতিয়ার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বঙ্গে ক্ষমতায় এলে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্বিগুন করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। তবে বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোট নিশ্চিত করতে মমতা সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ নিয়ে নতুন কোনও ভাবনাচিন্তা যে করবেই সেই বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই রাজনৈতিকমহলে।
রাজনৈতিকমহলে মতে এবারের বিধানসভা ভোটেও বেশ কিছু চমক রাখবে শাসক শিবির। যেই তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোট নিশ্চিত করতে তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই। তাই সেক্ষেত্রে ভোটের আগে যদি মহিলাদের জন্য চালু হওয়া এই প্রকল্পের বরাদ্দ দ্বিগুনও হয় সেক্ষেত্রেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে অভিজ্ঞ কর্তাদের একাংশের মত।
আবার শোনা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতা বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করা হতে পারে। তবে এই বর্ধিত ভাতা শুধুমাত্র যে সমস্ত মহিলার ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ২.১ লক্ষ টাকার কম, তাঁদের জন্য উপলব্ধ হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সুবিধা পেতে উপভোক্তাদের আয়ের শংসাপত্র জমা দিতে হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
মে মাসে উত্তরবঙ্গের এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতে আমরা চালু করেছিলাম। সারাজীবন চলবে। মেয়েদের সম্মান, মা-বোনদের সম্মান।” সম্প্রতিও এক জনসভা থেকে মমতা বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বসয়ী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান।
বিধানসভা ভোটের আগে ফের একবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। হয়তো চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছর একদম শুরুতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর আসবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি এখনও পর্যন্ত। সরকারি আপডেট মিললে তা প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।

