সংক্ষিপ্ত
অর্জুন ঘনিষ্টদের কথায় মুকুল রায় অর্জুন সিংকে দেখেই কাছে টেনে নেন। তাঁকে বলেন, 'এসে গিয়েছিস অর্জুন!'
প্রচারে বেরিয়ে পুরনো সহকর্মীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। একটা সময় দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্যছিলেন। রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে ছিল তাঁদের নাম। কিন্তু তাঁদের দুজনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার দখলদারি নিয়ে দুজনেরই অবস্থান ছিল দুই মেরুতে। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা মিলও রয়েছে। দুজনেই দলবদলু রাজনীতি পরখ করে দেখেছেন। দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। আবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। শুক্রবারের প্রচারে কাঁচরাপাড়ায় গিয়ে অর্জুন সিং ঢুঁ মারলেন তাঁর পুরনো সতীর্থ মুকুর রায়ের বাসভবনে। আর মুকুল রায়ও তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
বর্তমানে বয়সজনিত কারণে অসুস্থ মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের সাংসদ। বিজেপির প্রতীকে জিতলেও বর্তমানে তিনি তৃণমূলে রয়েছেন বলেই দাবি করেন। একটা সময় রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্টই সক্রিয় ছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূলের সেনাপতি হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে প্রায় ঘরবন্দি মুকুল রায়। থাকেন কাঁচরাপাড়ার পৈত্রিক বাড়িতে এদিন সেখেনেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন সিং। অসুস্থ মুকুল রায়ের কাছে গিয়ে কথা বলেন। প্রনাম করে আশীর্বাদও চান অর্জুন সিং। তাদের মধ্যে কথাবর্তাও হয়।
অর্জুন ঘনিষ্টদের কথায় মুকুল রায় অর্জুন সিংকে দেখেই কাছে টেনে নেন। তাঁকে বলেন, 'এসে গিয়েছিস অর্জুন!' অন্যদিকে অর্জুন জানিয়েছেন,কাঁচড়াপাড়ার ঘটক রোডে বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ওনার আশীর্বাদ চেয়েছেন। ওনার সঙ্গে তাঁর বহু পুরনো সম্পর্ক বলেও জানিয়েছেন অর্জুন সিং। তিনি আরও বলেছেন, 'মুকুল রায় বিজয়ী ভব বলে আমাকে আশীর্বাদ করে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। আমি ওনার সুস্থথার কামনা করলাম।'
অর্জুন সিং আরও বলেছেন, মুকুল রায়কে দেখে তাঁর মোটেও অসুস্থ বলে মনে হয়নি। মুকুল রায় তাঁকে চিনতে পেরেছেন বলেও দাবি করেছেন অর্জুন। তিনি আরও বলেন মুকুল রায় তাঁকে দেখে বলেছেন, 'আরে অর্জুন এসেছিস!' অর্জুন সিং এর দাবি মুকুল রায় তাঁকে ভোটে জেটার জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। বলেছেন, 'এবারও ভোটে তুই জিতবি।'
পাঁচ বছর আগে অর্জুন সিং মুকুল রায়ের মাধ্যমেই বিজেপিতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেবার বিজেপির প্রতীকে ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হয়েছিল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অর্জুন বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছেন। অন্যদিকে মুকুলও বিজেপির প্রতীকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল ভবন। তবে তাঁর রাজনৈতিক নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিজেপি না তৃণমূল - তা নিয়ে মুকুল রায় অবশ্য কোনও কথা বলেন না। স্থানীয় সূত্রের খবর বিজেপি বা তৃণমূল যে দলেই থাকুক না কেন দুজনের মধ্যে সম্পর্ক কখনই খুব একটা মধুর ছিল না।