সংক্ষিপ্ত
বিজেপি প্রথম দফায় বাংলার ২০ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘেষণা করেছিল। আসানসোলের প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেয়। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বেশ কিছু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের অপেক্ষা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের জট কাটিয়ে বিজেপি কি রবিবার আরও একটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারবে? এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে বিজেপির অন্দরে। কারণ প্রথম দফায় বিজেপির প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় বাংলার ২০ জন প্রার্থীর নাম ছিল। কিন্তু তারপর আর রাজ্যের প্রার্থীদের নাম নেই বিজেপির বাকি প্রার্থী তালিকায়। এদিন প্রথম দফায় বাংলার যে তিন কেন্দ্রে নির্বাচন হবে তার মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ি । এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। সূত্রের খবর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দফায় দফায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক চলছে।
কিন্তু বাংলার - জয় কতটা কাটাতে পেরেছে- তাই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। অন্যদিকে প্রার্থীদের নাম না ঘোষণা হওয়ায় ধীরে ধীরে ধৈর্য হারাতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির কর্মীরাও। কাকে প্রার্থী করা হবে- তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের ২৩ প্রার্থী-হীন আসনের কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু এর উত্তর দিতে পারছেন না বিজেপি রাজ্য বিজেপির নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর একদিকে সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীর মধ্য ঠান্ডা লড়াই, অন্যদিকে প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দুই নেতার ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব। তবে এবার জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম না ঘোষণা করলেই নয়!
Lok Sabha Elections: বিজেপিকে টেক্কা তৃণমূলের! কুণালের ভবিষ্যদ্বাণীতে রইল রাজ্যের ভোট যুদ্ধের ফলাফল
বিজেপি সূত্রের খবর শনিবার থেকে এপর্যন্ত দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছিল। শুভেন্দু-সুকান্তকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিটির বৈঠকের আগেই কোর কমিটির নেতারা আলোচনায় বসেন রাজ্যের বিজেপি নেতা সুকান্ত, মঙ্গল পাণ্ডে, সতীশ ধর ও অমিতাভ চক্রবর্তী। তাতে প্রার্থীদের নামে সিলমহর পড়লেও কিছু সমস্যা রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এখনও নিশ্চিত নয় যাদের প্রার্থী করা হচ্ছে তাদের জয়ের সম্ভবনা কতটা। আর সেই কারণে সব প্রার্থীদের নাম একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর রবিবার বিজেপি একটি প্রার্থী তালিকাতা প্রকাশ করতে পারে। সেখানেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
গোষ্ঠী জটে এখনও পর্যন্ত আটকে রয়েছে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভারতি দিলীপ ঘোষের ভাগ্য। সূত্রের খবর বিজেপির একটা অংশ চায় না দিলীপকে প্রার্থী করতে। তবে মেদিনীপুরের বিজেপি কর্মীরা প্রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে দিলীপকে প্রার্থী না করা হলে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে লোকসভা নির্বাচনে। একই অবস্থা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তকেই প্রার্থী করার পক্ষে। তবে বিপক্ষে স্থানীয় মানুষ। তাদের কথায় লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর তাঁক তেমনভাবে পাহাড়ে দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিজেপির দিল্লির নেতারা চাইছেন নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ট হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে দার্জিলিংএর প্রার্থী করতে। তিনি ইতিমধ্যেই পাহাড়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। যদিও তিনি সিকিমের বাসিন্দা। কিন্তু জোটে আটকে রয়েছে বাংলার ২৩ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা।
Cong Vs TMC: 'পাঠান হারলে দায় নেবে তো মমতা-অভিষেক'? প্রশ্নের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ অধীরের