সংক্ষিপ্ত
অধীররঞ্জন বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখানে তাঁকে হারানোর লক্ষ্যে সংকল্প নিয়েছে। আর সেই কারণেই তারা শিখণ্ডী করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে।
বহরমপুর কেন্দ্র অধীররঞ্জন চৌধুরীর খাস তালুক হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে সাংসদ তিনি। এবার তার প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের ক্রিকেটার রাজনীতিবিদ ইউসুফ পাঠান। যা নিয়ে প্রথম থেকেই কিছুটা হলেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে কি জেতা নিয়ে সংশয় রয়েছে বর্ষীয়ান এই সাংসদের- এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে। সম্প্রতি ইউসুফ পাঠানোর সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁরা অধীরকে হারাতে চান না। কিন্তু বহরমপুর জিততে চান। আর সেই কারণেই সেখানে তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। রবিবার অধির অবশ্য জানিয়েছেন, জেতার জন্য তিনি সব চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বহরমপুর যাতে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয় সেই জন্য বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস কোনও কুসুর করছে না।
Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুশিয়ারি, তিহার জেলে স্বাগত জানাল কনম্যান সুকেশ
অধীররঞ্জন বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখানে তাঁকে হারানোর লক্ষ্যে সংকল্প নিয়েছে। আর সেই কারণেই তারা শিখণ্ডী করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। এই কেন্দ্রে বিজেপির দুটি প্রার্থী। তৃণমূল আর বিজেপি একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করছেন। দুটি দল প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে অধীরকে হারাতে। তেমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। তবে এখানেই শেষ নয়, অধীর এদিন সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, বহরমপুর কেন্দ্রে পাঠানের হার মাানে তৃণমূল নেত্রী মমতা ও নেতা অভিষেকের হার। সেটা তারা মেনে নিতে পারবেন তো? দলের প্রার্থী হারলে তাদের নিজেদের হার কি স্বীকার করে নেবেন? এটা তারা আগে বলুক। যদি তৃণমূল নেতৃত্ব এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই লড়াইটা উপভোগ করবে।
Mahua Moitra: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের দিনই মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর, সিবিআই-এর নিশানায় তৃণমূল
কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে আসন সমঝতা হয়নি। তৃণমূল নেত্রী ব্রিগেড প্যারেডগ্রাউন্ড থেকে দলের ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। সেখানেই চমক ছিল ইউসুফ পাঠান। তারপর থেকেই অধীর চৌধুরী এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।