সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের উত্তরবঙ্গে এসে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণে দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উঠে এল।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এরপর রবিবারই জলপাইগুড়িতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রসকে তীব্র আক্রমণ করলেন। মোদীর কটাক্ষ, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাতে অবাধে অপরাধ করে যেতে পারেন, তার জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখানে আসে, সেই দলের সদস্যদের উপর আক্রমণ করে, ভয় দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। আইন ও সংবিধান ধ্বংস করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।’
সন্দেশখালি নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর
ভূপতিনগরের ঘটনার ৩ মাস আগে সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এরপর সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের একের পর এক ভয়ঙ্কর কুকীর্তির খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এই ঘটনা নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেশখালিতে কী হয়েছে সারা দেশ জানে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে প্রায় সব বিষয়েই আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন, তিনি অনেক মামলার নির্দেশ দেন। তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ এতটাই শক্তিশালী যে মানুষকে অত্যাচারীদের সামনে মাথা নত করতে হচ্ছে। কংগ্রেস, বামপন্থীরা এবং তৃণমূল একে অপরের দলের দুর্নীতিগ্রস্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ৪ জুনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জলপাইগুড়িতে মোদীর রোড শো
রবিবার জলপাইগুড়িতে জনসভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি রোড শো করেন মোদী। তাঁর জনসভা ও রোড শোয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মোদীকে কাছ থেকে দেখার জন্য বহু মানুষ রাস্তার ধারে ভিড় জমান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
NIA: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ দলের উপর হামলা, আহত অফিসার