সংক্ষিপ্ত

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষ নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই স্থানীয় একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরে অভাব অভিযোগ জানাতে থাকেন।

 

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে রীতিমত বিক্ষোভের মধ্যে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরে নানা ধরনের অভিযোগ জানাতে থাকেন। সমস্যা সমাধান না হলে তারা ভোট না দেওয়ার হুমকিও দেন। তবে পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষ নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই স্থানীয় একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরে অভাব অভিযোগ জানাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে ধরেন বলেন, পানীয় জল নেই, ড্রেন নিয়ে। রাস্তাঘাট ভাল নয়। নিকাশী ব্যবস্থা খারাপ। ড্রেন মজে গিয়েছে। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। আর সেই কারণে সমস্যা সমাধান না হলে তারা ভোট দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

প্রথম দিকে সায়নী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতে থাকেন। কিন্তু তারপরই তিনি পাল্টা বলেন, জলের ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তা মেরামতি করা হবে। ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন সায়নী ঘোষ। তবে এদিনের প্রতিবাদে স্পষ্ট স্থানীয়দের মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। তবে সায়নীর আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিন প্রায় টানা তিন ঘণ্টার রোড শো করেন সায়নী ঘোষ। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহম আগামী ১ জুন। তার আগে একটুও সময় নষ্ট করতে রাজি নন সায়নী। তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই প্রচার সারছেন তিনি।

তবে এর আগেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে সায়নী ঘোষকে। সম্প্রতি তিনি প্রচারে নেমে শিবলিঙ্গে জল ঢেলেছিলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরই উষ্কে দেয় পুরনো কন্ডোম বিতর্ক। কারণ সেই সময় কন্ডোম দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর।” যা বুলা দির শিবরাত্রি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ভাইরাল হয়েছিল। ওই এক পোস্ট নিয়ে সায়নীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে সায়নী ঘোষ সেই জানান, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। ওই পোস্ট দেখার পরই মুছে দেন। তবে বিতর্ক থেমে থাকেনি।