সংক্ষিপ্ত
সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। কোনও শিক্ষককে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে ভোটগণনার কাজে নিয়োগ করা যাবে না।
সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। কোনও শিক্ষককে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে ভোটগণনার কাজে নিয়োগ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে তারা জানায়, রাজ্যের সরকারি কিংবা সরকার পরিচালিত স্কুলে কাজ করেন এমন কোনও শিক্ষককে ভোটগণনার দিন কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। স্থায়ী অথবা অস্থায়ী, সমস্ত শিক্ষকদের জন্যই এই নিয়ম বলবৎ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ছয় দফার নির্বাচন শেষ। আর মাত্র বাকি এক দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। আগামী ১ জুন শনিবার, সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের মোট ৯টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। আর ৪ জুন মঙ্গলবার, ফলপ্রকাশ। ভোটগণনার দিন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্টরা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সেই কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে এবার কোনও শিক্ষক উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পরিষ্কার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ভোটগণনা কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে এবং প্রার্থীদের উপস্থিতিতে গণনার কাজ চলে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কাউন্টিং এজেন্টরা উপস্থিত থাকতে পারেন। কারণ, একাধিক জায়গায় গণনার চলার ফলে প্রার্থীর পক্ষে সবজায়গায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। তখন সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন কাউন্টিং এজেন্টরা। ঠিক যেরকম ভোটের দিন বুথে বুথে থাকেন ইলেকশন এজেন্টরা। অর্থাৎ, তারা হলেন প্রার্থীর প্রতিনিধি। সেইসঙ্গে, নিয়মকানুন সম্পর্কেও এজেন্টদের অবগত থাকা জরুরি।
সেই কাজেই এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। সরকারি কিংবা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা কোনওভাবেই হতে পারবেন না কাউন্টিং এজেন্ট। ঠিক শেষপর্বের ভোটগ্রহণ এবং ফলপ্রকাশের আগেই কমিশনের এই নির্দেশিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সেইসঙ্গে, নির্বাচনের দিন অশান্তি রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও যথেষ্ট জোর দিচ্ছে কমিশন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।