সংক্ষিপ্ত
বুথ ফেরৎ সমীক্ষাকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে অনেক বেশি আসন পাবে ঘাসফুল শিবির।
বুথ ফেরৎ সমীক্ষাকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে অনেক বেশি আসন পাবে ঘাসফুল শিবির।
শেষ হল লোকসভা নির্বাচন। আর তারপরই একাধিক বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে বিজেপি এবং পিছিয়ে তৃণমূল। কিন্তু এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সমীক্ষাকে তিনি ফেক বলে দাবি করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কর্মীদের শক্ত থাকার আহ্বান জানান।
তাঁর মতে, “আমাদের রাজ্য নিয়ে যেটা দেখানো হচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি না সেটা। পুরো ফেক জিনিস দেখানো হচ্ছে। বিশ্বাস করি না।” উল্লেখ্য, একাধিক সমীক্ষার যা ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বুকে বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলকে কার্যত পিছনে ফেলে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় দল হওয়ার পথে রয়েছে বিজেপি।
আর এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, “সংবাদমাধ্যম বলছে কি করে যে এই আসনে এ জিতবে, ঐ আসনে ও জিতবে বা অমুক আসনে কে জিতবে। কত টাকার বিনিময়ে হচ্ছে এসব? আমি সংবাদমাধ্যমের এই হিসেব মানি না, বিশ্বাসও করি না। আমাদের সব কর্মীদের বলব শক্ত থাকুন। গণনার দিন ভালোভাবে কাজ করতে হবে। সংবাদমাধ্যম যা দেখিয়েছে, তার দ্বিগুণ আসন আমরা পাব। সব আসনেই আমরা জিতব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি নম্বরের বিষয়ে এখনই কিছু বলব না। কিন্তু এটুকু আপনাদের বলতে পারি যে, আমরা যেভাবে মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করেছি এবং মানুষের চোখ দেখে বুঝেছি, তাতে আমার কখনও মনে হয়নি যে মানুষ আমাদের ভোট দেবেন না।”
সেইসঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে মমতা বলেন, “সিপিএম নাক না গলালে জাতীয় স্তরে কোনও সমস্যা হবেনা। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সবই ঠিকঠাক চলছে এবং আমি সমর্থনও দিয়েছি ওদের। কিন্তু সিপিএম ওদের মনিটরিং করে বলেই আমার খারাপ লাগে। এই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে অবশ্যই যাব আমরা। কোনও অসুবিধে নেই আমাদের। তবে আমাদেরও একটা অঙ্কের হিসেব রয়েছে। আরও আঞ্চলিক দল যাতে আমাদের সঙ্গে আসে, সেই চেষ্টা করব। তবে মোদীর সরকার আদৌ চলবে কিনা, সন্দেহ আছে।”
সবমিলিয়ে, ভোটের ফলাফলের আগে সমস্ত বুথ ফেরৎ সমীক্ষাকে কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।