সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটের ফল বেরোতেই যেন বিজেপিতে চলছে তুমুল অন্তর্কলহ। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।
লোকসভা ভোটের ফল বেরোতেই যেন বিজেপিতে চলছে তুমুল অন্তর্কলহ। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।
নির্বাচনের আগে পাশে পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের প্রচারে উঠেছিল ঝড়। কিন্তু, ভোটের ফল বেরোতেই একেবারে কুপোকাত। প্রায় ৫৬ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কাছে পরাজিত হন তিনি।
আর এবার তাঁর মুখেই শোনা গেল টাকার নয়ছয়ের কথা। কার্যত বিস্ফোরক ইঙ্গিত তাঁর মন্তব্যে। অমৃতা রায় বলছেন, যে টাকা এসেছে তা নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন প্রার্থী নিজেই। তাঁর অভিযোগ, তিনি এই কথা দলকে জানালেও, দলেরই এক মহিলা কর্মী নাকি তাঁকে রীতিমতো শাসিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সেই মহিলা কর্মী নাকি দলের উঁচুতলার নেতাদের বেশ ঘনিষ্ঠ।
এই প্রসঙ্গে অমৃতা রায় জানান, “ওই মহিলা কোন পদে আছেন, আমি ঠিক জানি না। সে আমাকে বলল যে, টাকার বিষয়টা নিয়ে আপনি যখন সঠিক প্রমাণ দিতে পারছেন না তাহলে এটা বলছেন কী করে? তখন আমি বললাম যে, আমি বলছি না। লোকেই তো বলছে। কিন্তু ওই মহিলা বিজেপির নেতৃত্বের খুবই ঘনিষ্ঠ। আমি তো জানিই না কত টাকা এসেছে এবং কত খরচ হয়েছে। আমি পুরো অন্ধকারে।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনও কোনও সুস্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ১২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই একদিকে যেমন মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ, তেমনই আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেছে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। এবার নতুন সংযোজন হলেন অমৃতা রায়।
সবমিলিয়ে, হারের পর যেন বিজেপির মধ্যে অন্তর্কলহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।