সংক্ষিপ্ত

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার আসরে নামলেন রাজ্যপাল। নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার আসরে নামলেন রাজ্যপাল। নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।

শুক্রবার, তিনি মাহেশ্বরী ভবনে যান ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের (BJP Workers) সঙ্গে দেখা করতে। প্রসঙ্গত, এই ভবন থেকেই বিজেপি কর্মী এবং তাদের পরিবারকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে।

এমনকি তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার, রাজভবনে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখেও পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, “এটা সংবিধান বিরোধী কাজ।”

তারপরই তিনি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে জানান, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট তিনি পাননি। তাঁর নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে জানার ছিল, কিন্তু তিনি তা জানতে পারেননি। রাজ্যপাল আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমি কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না।” এই প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ভোটের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটখাটো রাজনৈতিক সংঘর্ষের (Post Poll Violence) ঘটনা অনবরত ঘটে চলেছে। কলকাতার (Kolkata) মাহেশ্বরী ভবনে বিজেপির বহু কর্মী এবং সমর্থকদের রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

বৃহস্পতিবার, সেইসব ঘরছাড়া মানুষদের নিয়েই রাজভবনে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু মাঝপথে তাঁর গাড়ি থামায় পুলিশ। রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের এভাবে আটকানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধী দলনেতা। আর শুক্রবার, সেই একই সুরে কথা বলতে শোনা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও (C.V Anand Bose)।

তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কারণ, তারা হিংসার শিকার। কিন্তু তাদের দেখা করতে দেওয়া হলো না আমার সঙ্গে। এটা সংবিধান বিরোধী কাজ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বেশ কিছু খুনের ঘটনাও সামনে এসেছে। আমি কিন্তু এসব শুনে চুপ করে বসে থাকব না।”

রাজ্যপাল আরও যোগ করেন, “তাছাড়া আজ আদালতও বলেছে যে, কেউ যদি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চায়, তাহলে তাঁকে আটকানো যাবে না। যদি কেউ বা কারা সেটা করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। আমি আশা করব যে, এটাই প্রথম আর এটাই শেষ। এরপর থেকে আর এমন হবে না। সরকার যদি নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে আইনও তার নিজের পথে চলবে। কারণ, সংবিধান সবার ওপরে।”

অন্যদিকে, সিভি আনন্দ বোস বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখবেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।