সংক্ষিপ্ত

তাঁর অভিযোগ অ্যাপ ক্যাবের ক্ষেত্রে অকারণে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বেশি মাত্রায় ভাড়া নেওয়া হয়। সেই কারণেই এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে।

এক ফোনেই বাড়িতে হাজির হবে অটো। প্রয়োজনের সময় আর অ্যাপ ক্যাবের হয়রানি নয়। কামারহাটিতে 'দুয়ারে অটো' পরিষেবা চালু করলেন কালারফুল বয় মদন মিত্র। কামারহাটি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য এই পরিষেবা চালু করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এলাকার মানুষকে অ্যাপ ক্যাবের হয়রানিতে যাতে না পড়তে হয় এবং প্রয়োজনের সময় মাত্রাতিরিক্ত টাকা যাতে না গুনতে হয় সেই উদ্দেশেই এই পরিষেবা চালু করলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মূলত মানুষের কাছে একটি বিকল্প পরিষেবা এনে দিতেই এই ব্যবস্থা। তাঁর অভিযোগ অ্যাপ ক্যাবের ক্ষেত্রে অকারণে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বেশি মাত্রায় ভাড়া নেওয়া হয়। সেই কারণেই এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে।

সারা ভারতের মধ্যে এই প্রথম অন কল অটো পরিষেবা চালু হল। কামারহাটি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চালু হল এই পরিষেবা। ০৩৩ ২৫৬৪ ২৯৯১- এই নম্বরে ফোন করলেই বাড়িতে হাজির হবে অটো। জানা যাচ্ছে প্রথম দিকে মূলত অসুস্থ রোগী ও জরুরী কাজের জন্যই এই পরিষেবা মিলবে। পরে মানুষের চাহিদা ওপর ভিত্তি করে সর্বসাধারণের জন্য পরিষেবা চালু করা হতে পারে। শনিবারই এই অন কল অটো পরিষেবার উদ্বোধন করেন কালারফুল বয় মদন মিত্র। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আগে অন কলে ট্যাক্সি মিলত। পরে সেই জায়গা নেয় অ্যাপ ক্যাপ। যেহেতু কোনও নিয়ম করেই সরকার তাঁদের বাঁধতে পারছে না তাই প্রয়োজনের সময় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। মানুষের কাছে কোনও বিকল্প থাকছে না। তাই একটা বিকল্প পরিষেবা নিয়ে আসার জন্যই এই ভাবনা।'

প্রসঙ্গত কদিন আগেই নিজস্ব ভঙ্গিতে অর্পিতার সঙ্গে শ্বেতার তুলনা টেনেছিলেন মদন মিত্র। কামারহাটি-কানেকশনের বিষয় তাঁর স্পষ্ট জবাব,'সব সুন্দরী, লাস্যময়ীদের যদি বেলঘরিয়া ভালো লাগে তো ম্যায় কিয়া করু?' তিনি আরও বলেন,'বাগান তো অনেক হয় বৃন্দাবন কটা হয়?' পাশাপাশি মদন মিত্র বলেছেন,'ওঁ কি অপরাধ করেছে তা আমি জানিনা তবে সে সুন্দরি, অর্পিতাও সুন্দরী।' কিন্তু দুর্নীতির আবহে কেন বারবার উঠে আসছে মহিলা যোগ? উত্তরে কামারহাটির বিধায়ক সাহিত্যের উদাহরণ দিয়ে বললেন,'সুন্দরী, লাস্যময়ী না হলে শাঁখ ও বাজবে না, সৌন্দর্যও হবে না, পাপও সংগঠিত হবে না।' বারবার উঠে আসা রহস্যময়ীদের ঠিকানা মদন মিত্রের একালা কামারহাটিই। কেন বার বার বেলঘরিয়া এলাকার নাম জড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ছিলেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকার পাহাড় ও গয়নাগাটি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন অর্পিতা। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সদ্য নাম জড়ানো শ্বেতা চক্রবর্তীর ঠিকানাও বেলঘরিয়া। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছে ধৃত অয়ন শীলের সঙ্গে যোগের অভিযোগ। তবে তাঁর সঙ্গে এখনও কোনও তদন্তকারী সংস্থা যোগাযোগ করেনি বলেই জানাচ্ছেন শ্বেতা। কেন বারবার দুর্নীতিকাণ্ডে উঠে আসছে কামারহাটি-কানেকশন? প্রশ্নের জবাবে নিজের স্বভাবসিদ্ধ কায়দায় মুখ খুলেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।