সংক্ষিপ্ত

প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আটকাতে এবার প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে তিনটি করে সিসিটিভি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলে প্রবেশের মুখে ও সদ্য আসা প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খোলার জায়গায় সিসিটিভি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিক। চলবে ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। আরও ৩৫০ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নিয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ হবে ফল। ৪০ হাজার ৫০০ পরীক্ষক। এর মধ্যে প্রধান পরীক্ষক ১১৫৩ জন। পরীক্ষা চালানোর জন্য ৩৫ হাজার ইনভিজিলেটর রয়েছেন। ১২২৬টি সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবছর সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৮৭।''

পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে একটাই কথা, এটি জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ঠিকই। কিন্তু একমাত্র বড় পরীক্ষা নয়। আরও পরীক্ষা দেওয়ার রয়েছে। এখানে মন ঠান্ডা করে পরীক্ষা দিতে হবে। ফলাফল নিশ্চয়ই ভালো হবে, আশা করা যায়।' এর পরেই তাঁর সংযোজন, 'আমরা ভালো করে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁটিয়ে দেখেছি। ব্যবস্থাপনা ঠিক রয়েছে কিনা, দেখে নেওয়া হয়েছে। সার্বিক রিপোর্ট যা রিপোর্ট পাচ্ছি, তাতে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।' মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এও জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পর্ষদের নানা উদ্যোগ

১. ২০২৩ সাল থেকে নতুন নিয়ম চালু হল যে, এক ঘন্টা পর যদি কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে যেতে চান, তাহলে তখন তাঁকে নিজের প্রশ্নপত্রটিও জমা দিতে হবে সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে। অর্থাৎ, পরীক্ষার সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে সেই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোতে পারবেন না।

২. প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আটকাতে এবার প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে তিনটি করে সিসিটিভি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলে প্রবেশের মুখে ও সদ্য আসা প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খোলার জায়গায় সিসিটিভি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও, পরীক্ষা চলাকালীন টুকলি হওয়া রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

৩. প্রশ্ন-উত্তরের কারচুপি ছাড়াও অনেক সময়েই দেখা যায় যে পরীক্ষা দিতে এসে স্কুলের বিভিন্ন সম্পত্তি নষ্ট করে দেয় বহু বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এমন কোনও অভিযোগ উঠলে অভিযুক্ত স্কুলের পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট পেতে সমস্যা হতে পারে। যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেলে তবেই রেজাল্ট দেওয়া হবে।