সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের (West Bengal) শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ভীষণই খারাপ। আবারও প্রমাণিত।

West Bengal Education: বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সাতটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করলো প্রশাসন। কারণ, পড়ুয়ার সংখ্যা ২০ জনেরও নিচে! এই খবর শুনে চূড়ান্ত হতাশা আর অনিশ্চতায় ভূগছেন সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলির পড়ুয়া, অভিভাবক এবং এলাকার মানুষরা। এমনকি, মন খারাপ সেই কেন্দ্রগুলির শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। তবে এভাবে শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক (West Bengal News)।

প্রসঙ্গত, বাম আমলে শিক্ষার প্রসারে ২০০৩-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে সারা রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়া জেলাতেও পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে বেশ কিছু মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত হয় এবং সেখানে শিক্ষকও নিয়োগ করা হয়। সরকারি অর্থে শিক্ষা কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো একেবারে ঢেলে সাজানো হয়। কিন্তু এবার বাঁকুড়া-১ ব্লকের কুমিদ্যা রাধামাধব, ইন্দাসের করিশুণ্ডা, জয়পুরের বিদ্যাসাগর, কোতুলপুরের ছানুয়া, ওন্দার প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মৃতি, পাত্রসায়রের ধগড়িয়া এবং তালডাংরার ফুলমতি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

স্বাভাবিকভাবেই, গ্রামের এক এবং একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে মন খারাপ বাঁকুড়া-১ ব্লকের কুমিদ্যা রাধামাধব মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সবারই। তাদের দাবি, স্কুল বন্ধের সরকারি এই নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।

আসলে শিক্ষক সংখ্যা মাত্র দু'জন। ফলে, অনেকেই এখানে ভর্তি হতে চায়না। তাই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের দাবিও তারা তুলছেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ এখনও না পেলেও খবরটা সত্যি। তবে আমার অন্যত্র বদলি হওয়ার নির্দেশিকা পেয়েছি। মন খুব খারাপ। এই স্কুল বন্ধ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাতে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।”

আর সেইজন্য শিক্ষক নিয়োগ করে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলি চালু রাখার পক্ষেই তিনি। গত কয়েক বছরে বাংলাতে সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা দিনদিন কমেছে। সেইসঙ্গে, লাফিয়ে বেড়েছে স্কুলছুটের সংখ্যা। যা নিয়ে বারবার বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় বাঁকুড়া জেলার সাতটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদরাও।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।