সংক্ষিপ্ত

পড়ুয়াদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই প্রবণতা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই স্কুলে না আসার এই মানসিকতার ক্ষতিকর দিকগুলি পর্যালোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজছে শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার পড়লেই স্কুলের হাজিরা খাতাতেও শনির দশা। অন্যান্য দিন পড়ূয়াদের উপস্থিতির হার স্বাভাবিক হলেও শনিবার স্কুলে উপস্থিতির হার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। শিক্ষকদের একাংশের দাবি এই ধারা কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতেই শুরু হয়েছে। শনিবার হলেই আর স্কুলের ত্রিসীমানায় দেখা যায় না পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই প্রবণতা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই স্কুলে না আসার এই মানসিকতার ক্ষতিকর দিকগুলি পর্যালোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজছে শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। নয়া শিক্ষাবর্ষে আর এই ধরণের পরিস্থিতি চাইছেন না তাঁরা।

জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নয়া শিক্ষাবর্ষ। এদিকে একাধিক সরকারি স্কুলে দিনের পর সিন ধরে ঘটে চলেছে একই ঘটনা। প্রান্তিক বা অনামী স্কুলের কথা তো ছেড়েই দিলাম, কিন্তু রীতিমত নাম করা সরকারি স্কুলও ব্যতিক্রম নয়। খাস কলকাতার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবিষয় জানিয়েছেন যে,মূলত করোনাকাল কাটিয়ে স্কুল খোলার পর থেকেই এই ঘটনা লক্ষ করছেন তাঁরা। শনিবার হলেই উপস্থিতির হার তলানিতে। সেকশন জুড়ে দিয়েও ভরছে না ক্লাসরুম। অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেছেন, এই ঘটনা খুবই উদ্বেগের। এর জন্য সুচিন্তিত দীর্ঘস্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা প্রয়োজন।

সমস্যার উৎস

শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য করোনাকালে বাড়িতে বসে পড়াশোনা করায় পড়ুয়াদের গৃহ শিক্ষক নির্ভরতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সরকারি নজরদারি কড়া হওয়ার কারণে স্কুলের শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা অনেকটা কমেছে। ফলত পেশাদার গৃহশিক্ষকদের উপর চাপ বেড়েছে। তাই শনিবার তাঁরা সারাদিনই পড়াচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীরা সেখানে চলে যাচ্ছে টিউশন পড়তে।ফলত স্বাভাবিকভাবেই কমছে স্কুলে উপস্থিতির হার। স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শনিবার ক্লাসের সময় কমিয়ে পাঠক্রম বহির্ভূত বিভিন্ন শিক্ষা দেওয়া হোক। কিন্তু তাতেও শনিবার স্কুলমুখী করা যায়নি পড়ুয়াদের।