সংক্ষিপ্ত
কিছুদিন আগেই সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেত্রী। ভোটের আগে পর পর ধাক্কা খেয়েছেন মহুয়া। যদিও দল তার পাশ থেকে সরে যায়নি। নিজেকে সামলে ২৪ এর লোকসভা ভোটেও জোড়াফুলের হয়ে লড়েন মহুয়া।
গত ১৩ মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের মুখোমুখি হয়েছেন বিজেপির তরফে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের কূলবধূ রানিমা অমৃতা রায়। নিজেদের জয় নিয়ে দুই প্রার্থীই বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কত ভোটে তিনি জিতবেন।
কিছুদিন আগেই সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেত্রী। ভোটের আগে পর পর ধাক্কা খেয়েছেন মহুয়া। যদিও দল তার পাশ থেকে সরে যায়নি। নিজেকে সামলে ২৪ এর লোকসভা ভোটেও জোড়াফুলের হয়ে লড়েন মহুয়া।
একদিকে সংসদ থেকে বহিষ্কার অন্যদিকে সিপিএমের সংখ্যালঘু ভোট কাটার জের, এই দুই মিলিয়ে এ বার তৃণমূল প্রার্থীর লড়াই বেশ কঠিন হতে চলেছে, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও এসব পাত্তা না দিয়ে নিজের জয় নিয়ে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী মহুয়া। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তিনি এক লক্ষ ভোটে জিতবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল প্রার্থী। মহুয়ার জয়ের কথায় বিজেপি প্রার্থী অমৃতার পাল্টা দাবি, ‘উনি মারপিট করে, বাঁশপেটা করে ভোটে কারচুপি করে এক লক্ষ ভোটে জেতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। এখানকার মানুষ এক জন দেশদ্রোহীকে জেতাবে না।’
তবে গতবারের মত এবার এই মার্জিন থাকবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেবার মহুয়ার জেতার পেছনে বড় অবদান ছিল সংখ্যালঘু ভোটারদের। তবে এই সেই ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে চলেছে বলেই মত অধিকাংশের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু এলাকায় যেভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে তাত তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে যে ভাঙন ধরতে পারে।
প্রসঙ্গত, গতবার নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিলেন মহুয়া। এবার প্রায় ৬৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।