সংক্ষিপ্ত
শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে গভীর রাতে হামলার ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ।
শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলা শিলিগুড়ি জংশন অঞ্চল থেকে এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার পর থেকেই পলাতক ছিল প্রদীপ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে প্রদীপের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই কারণে তাকে গ্রেফতার করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয় শিলিগুড়ি পুলিশ। শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে গেল। প্রদীপকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা কেজিএফ গ্যাংয়ের
শিলিগুড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালিয়েছে কেজিএফ গ্যাংয়ের সদস্যরা। এই গ্যাংয়ের মাথা অলোক দাসকে গ্রেফতার করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। অলোকই শিলিগুড়ি কেজিএফ গ্যাং তৈরি করেছে। কেজিএফ গ্যাংয়ের সদস্যরা একের পর এক অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার পর এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। এতদিন অধরা থাকার পর প্রদীপও ধরা পড়েছে। এবার এই গ্যাংকে দমন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পুলিশ। শিলিগুড়ি শহর ও আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল এই গ্যাং। এবার এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রদীপের গ্রেফতারিতে আত্মবিশ্বাসী পুলিশ
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানিয়েছেন, 'আমরা কেজিএফ গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না জানার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
মারাত্মক ঘটনা! রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ৭জন কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা