সংক্ষিপ্ত
শিক্ষিকা ইন্দ্রানী সরকারের স্বামী পঙ্কজ কান্তি সরকার জানিয়েছেন চুল কেটে ফেললেও এতটুকু সৌন্দর্য কমেনি স্ত্রীর। বরং গৃহীনীর সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করেছেন তিনি।
ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য চুল দান করলেন মালদহের চাঁচল কলেজের শিক্ষিকা। মানবিকতার নজির গড়ে শিক্ষিকার এই সাহসী সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। ক্যান্সার আক্রান্তদের কথা ভেবে নিজের মাথার চুন দান করলেন শিক্ষিকা ইন্দ্রানি সরকার। সকল নারীর সৌন্দর্যের কথা ভেবে স্ব-ইচ্ছায় চুল দান করলেন তিনি। অর্ধাঙ্গীনীর সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষিকার স্বামীও। শিক্ষিকা ইন্দ্রানী সরকারের স্বামী পঙ্কজ কান্তি সরকার জানিয়েছেন চুল কেটে ফেললেও এতটুকু সৌন্দর্য কমেনি স্ত্রীর। বরং গৃহীনীর সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করেছেন তিনি।
ক্যানসার আক্রান্তদের কথা ভেবে নিজের চুল দান করলেন মালদহের চাঁচল কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ইন্দ্রানি সরকার। কেমোথেরাপির কারণে যে সব ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের চুল উঠে যায় তাঁদের কথা ভেবেই নিজের চুল দান করেছেন এই শিক্ষিকা। নিজের চুলের ১৯ ইঞ্চি কেটে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। শিক্ষিকার এমন মানবিক ভাবনায় অভিভূত সহকর্মী থেকে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। কলেজের অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস ইন্দ্রানীর এই পদক্ষেপের প্রসংশা করে বললেন,'আমরা আপ্লুত।আমাদের কলেজের শিক্ষিকা মহিলা হয়ে অন্য মহিলার সৌন্দর্য্য দান করলেন।শিক্ষিকাকে দেখে ছাত্রীরা এগিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।' ওই কলেজেই কর্মরত রয়েছেন শিক্ষিকার স্বামী পঙ্কজ কান্তি সরকার।তিনি বলেন,'চুল কাটার পরে স্ত্রীর একটুও সৌন্দর্য্য ক্ষুণ্ণ হয়নি।'