Malda News: তরুণীকে হেনস্থা তারপর সালিশি সভায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদহের হরিশচন্দ্রপুর। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Malda News: তরুণীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে তৃণমূল নেতার সালিশি সভাতে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ। সেই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরও অধরা সালিশি সভার মূল মাস্টারমাইন্ড। মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি নিয়ে প্রভাবশালী তথ্যের অভিযোগ বিরোধীদের। সাহস পাচ্ছে না পুলিশ খোঁচা বিজেপির। সাফাই তৃণমূলের, আইন মেনে চলার পরামর্শ সিদ্দিকুল্লার। তরুণীকে ইভটিজিং নিয়ে তৃণমূল নেতার সালিশি সভা ঘিরে তুমুল তরজা মালদহে।
জানা গিয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত যুবককে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে পুলিশকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যার উস্কানিতে এই ঘটনা। ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও অধরা সালিশি সভার সেই মাতব্বর তৃণমূল নেতা। ছয় গ্রামবাসী গ্রেফতার হলেও তার টিঁকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সামনে এনে বিরোধীদের অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত আছে বলেই সাহস পাচ্ছে না পুলিশ। আবার অন্যদিকে এদিন জেলায় আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে এসে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি নিয়ে আইন মেনে চলার পরামর্শ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর।
কিন্তু অধরা ওই নেতা। অভিযোগ, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগরের ডাটিওন এলাকায় মাঠে গরু বাঁধতে গিয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হন এক তরুণী। তার পরিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক চাপ দিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসান। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে এসে জানতে পারে সালিশি সভাতে তাকে মারধর করা হচ্ছে। তারপর পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা।বাঁশ লাঠি নিয়ে আক্রমণ করা হয়। ভাঙচুর হয় গাড়ি। এএসআই পদমর্যাদার দুই পুলিশ অফিসার সহ মোট পাঁচজন আহত হন। হেনস্থা হতে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারকেও।
তরুণীর পরিবার অভিযোগ করে ওই তৃণমূল নেতাই পুলিশকে আক্রমণের নিদান দিয়ে ছিল। এদিকে এই ঘটনায় সোয়ামোটো মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চলছে ধরপাকড়। এখনো মোট গ্রেফতার ৬। এলাকার বহু পুরুষ আতঙ্কে ঘরছাড়া। কিন্তু সালিশির যে মূল পান্ডা। যার উস্কানিতে এই ঘটনা। সেই তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক এখনও অধরা। তার সঙ্গে এলাকার বিধায়ক কথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ছবি সামনে এসেছে। মন্ত্রীর ভাই জম্মু রহমানের সঙ্গেও ছবি আছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে এই নেতা এলাকায় এই ধরনের সালিশি করেন দাদাগিরি করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত আছে বলেই এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। যদিও সমগ্র অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই তৃণমূলের।
তবে এদিন জেলায় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী যখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি নিয়ে আইন মেনে চলার পরামর্শ দিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আদেও কী পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে ওই নেতাকে। না কি প্রভাবশালী ছত্রছায়ায় বেঁচে যাবে জিয়াউল। উত্তর দেবে সময়। তবে সমগ্র ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


