সংক্ষিপ্ত

ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন গির্জা ক্যাথিড্রাল অব মোস্ট হোলি রসারির ভিতরে ক্যারলে অংশ নেন তাঁরা। 

কলকাতায় বড়দিনের উৎসবে সামিল হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ডিসেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতায় পর্তুগিজ চার্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গী ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর কন্যা আজানিয়া এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন গির্জা ক্যাথিড্রাল অব মোস্ট হোলি রসারির ভিতরে ক্যারলে অংশ নেন তাঁরা। এদিন অভিষেক পরেছিলেন একটি কালো রঙের স্যুট, তাঁর হাত ধরে থাকা ছোট্ট আজানিয়া পরেছিল লাল-সাদা সোয়েটার, যাতে লেখা, ‘মেরি এক্সমাস’। ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’ গানে মুখরিত হয়ে ওঠে পর্তুগিজ চার্চ। বড়দিন উপলক্ষ্যে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সম্পূর্ণ গির্জা। চারিদিক সাজিয়ে তোলা হয়েছে উজ্জ্বল আলোয়। শনিবার রাতে ব্রেবোর্ন রোডের ধারে শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জায় সপরিবারে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতা মেরির বিগ্রহের সামনে ফিতে কেটে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

প্রতিবছরই শহর কলকাতায় আয়োজিত অন্যান্য বড় উৎসবগুলির মতো বড়দিনের উৎসবেও সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য বছরগুলি সাধারণত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চে যেতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এবার তিনি হাজির ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত সুপ্রাচীন পর্তুগিজ চার্চে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্বয়ং কলকাতার বিশপ। তাঁর আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী গির্জায় অনুষ্ঠিত বড়দিনের প্রাক্কালের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এদিন রাত ১০টা ৩২ মিনিটে নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের কন্যা আজানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গির্জায় পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার নিরাপত্তার কাণ্ডারি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। গির্জার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ও আজানিয়াকে আশীর্বাদ করেন বিশপ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর রাত প্রায় ১১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।



আরও পড়ুন
ভারত জুড়ে করোনাভাইরাসের ব্যাপক আশঙ্কা, বাংলায় এসেও বিজেপির জনসভায় আসবেন না নরেন্দ্র মোদী
বড়দিনের আগেই পার্ক স্ট্রিটে মোতায়েন হচ্ছেন প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী, কলকাতা পুলিশের চূড়ান্ত তৎপরতা