সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের জমায়েত ছিল। সেখানেই তিনি বলেছেন, '২১ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বকেয়া মজুরুর টাকা পৌঁছে যাবে।'
১০০ দিনের কাজের টাকা পাবেন রাজ্যের ২১ লক্ষ শ্রমিক। মোদী সরকার টাকা না দিলেও শ্রমিকদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে। ধর্না মঞ্চ থেকে দ্বিতীয় দিনে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল থেকেই রেডরোডে শুরু হয়েছে কেন্দ্র বিরোধী ধর্না। রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতেই রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা রয়েছেন ধর্নামঞ্চে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের জমায়েত ছিল। সেখানেই তিনি বলেছেন, '২১ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বকেয়া মজুরুর টাকা পৌঁছে যাবে।' সেখানেই তিনি বলেন মোদী সরকার টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই বঞ্চিতদের টাকা মেটাতে। মমতা বলেন, 'আপনারা আমার কাছ থেকে কী চান?' উত্তর আসে লড়াই। তারপরই তিনি বলেন, 'লড়াইতো হবেই। লড়াই তো চলবেই। খেলা তো হবেই, তবে আপনাদের টাকা আমারাই দেব। ২১ লক্ষ মানুষের বকেয়া মজুরি ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমরাই পাঠিয়ে দেব।'
১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দর সরকার দিচ্ছে না বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে মমতার সরকার। তিনি প্রাপ্য টাকার দাবিতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ধর্নাও দিয়েছিলেন। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল রাজ্য সরকার হিসেবের খাতা কারচুপি করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি এই রাজ্যে কেন্দ্রের একাধিক প্রতিনিধি দল এসেছে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোনও কথা বলেনি। তারপরেই বাংলাকে বঞ্চিত করার জন্যই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। বাংলার উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। এই অবস্থায় রাজ্যের পাওনা আদায়ে ধর্না মঞ্চে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার মমতা বলেছেন, ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দিল্লি যাবেন। এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে। সেই আলোচনা সভায় তিনি যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি আলোচনা হবে। আর তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসবেন। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।