সংক্ষিপ্ত
মমতা বেহালার অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কোনও টাকা দিচ্ছে না।
প্রত্যেকবারের মত এবারও স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালার অনুষ্ঠানে যোগদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর আমলে বেহালার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি করেন। এই দিনের অনুষ্ঠানে মমতা যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেন। কেন্দ্র বাংলার বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মমতা বলেন, 'যাদবপুরে যেভাবে এই যে ছেলেটিকে স্বপ্নদীপ অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাঁর বগুলার মা বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে পানকরণ করেছিল। আমাকে বলেছিল আমি ফোন করেছিলেন, ছেলেটি খুব কাঁদছিল। কিন্তু তখনও ভাবতে পারেনি ওভাবে ওপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।' তিনি বলেন যারা অত্যাচার করেছিল তারা মার্ক্সবাদী। এখনও বড়বড় কথা। এখনও বিজেপির সঙ্গে ঘর করছে। কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছিল। তিনি আরও বলেন, ছেলেটি একটি মাদুলি পরেছিল। সেই কারণে স্বপ্নদীপের ওপর অত্যাচার করেছিল। মাদুলি খুলতে বলেছিল। তিনি আরও বলেন, সেই সময় মার্ক্সবাদীরা বলেছিল এটা রেডপোল। তিনি আরও বলেন, যাদবপুরে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। যাদবপুরে এখনও আগমার্কা সিপিএম রয়েছে। তারা এখনও মনে করে গ্রাম থেকে ছুলেপুলে এলেই তারা আত্যাচার করার অধিকার বলে মনে করে। তিনি আরও বলেন, 'এইজন্যই তিনি যাদবপুর যান না।' তারপরই মমতা বলেন, যাদবপুরের ছেলেমেয়ে পড়াশুনায় ভাল হতে পারে। কিন্তু সেটাই তো সব নয়। তিনি বলেন তারমধ্যেও অবশ্য ভাল কিছু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'আমার ছোট ছোট ভাইবোন যাদের রাজনীতি করার ইচ্ছে রয়েছে তারা বিজেপি আর সিপিএমটা করবেন না। ওরা দানবিক মানবিক নয়।' তিনি আরও বলেন, 'যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর হয়ে গেছে।'
এদিন মমতা বেহালার অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কোনও টাকা দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আগে এনআরসি এনেছিল। এখন ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট নিয়ে আসছে। তিনি জানিয়ে দেন এটি আইন তারা মানবেন না। কারণ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, 'কাশ্মীর আর মণিপুর আজ স্বাধীন না পরাধীন - কার অধীনে রয়েছে।' মমতা বলেন তাঁর মন কাঁদছে মণিপুর আর কাশ্মীরের জন্য। তিনি বলেন অনেক জায়গায়ই বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যা নিয়ে তিনি তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। এদিন বেহালার অনুষ্ঠান থেকে মমতা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক ইস্যুও তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিজেপি করলে আর ইডি বা সিবিআই - নেই। তিনি বলেন কেন্দ্র ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে। রাজ্যের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন কেন্দ্র ভোট এলেই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করে না। মমতা বলেন দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী ইডি আর সিবিআই-এর ভয়ে পালিয়ে গেছে। কোনও প্রমাণ ছাড়া মানুষদের জেলে আটকে রাখা হয়। তবে তিনি জানিয়েছেন আইনের প্রতি তাঁর বিশ্বাস রয়েছে।