দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি জল ছড়ার কারণেই বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি জল ছড়ার কারণেই বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বন্যা নয়, কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জল ছাড়ার কারণেই স্থানীয় মানুষদের দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে।'

প্লাবন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সকল জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও সরকারি কর্তারা। বৈঠকের মধ্যে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। ডিভিসির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করেও কোনও ফল না পাওয়ার কারণে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'ওরা জল ছেড়ে দিয়েই খালাস। পুরো জলে ডুবিয়ে দিয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও কথা কানে নিচ্ছে না। রাজ্যের প্রতিনিধি দল গিয়ে দিল্লিতে বলেছে, আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল। ১৪ বছর ধরে লড়ই করছি। কিন্তু ফল পাওয়া যাচ্ছে না। '

মমতা বলেন, গত ১৮ জুন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিভিসি ২৭ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছেড়েছে। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মত জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মমতা বলেন, প্লাবিত এলাকায় যাদের কাচা বাড়ি রয়েছে, তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে জায়গায় রাখতে হবে। ত্রাণ সামগ্রমী থেকে সাপে কাটার ঔষুধ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, 'অসমে বন্যা হলে তারা টাকা পায়, কিন্তু দুর্ভাগ্য হল বাংলা পায় না। গঙ্গার ভাঙন হলেও টাকা পায় না, বন্যা হলেও টাকা পায় না। আর ভোটের সময় এলে অন্য অঙ্ক কষে।'