সংক্ষিপ্ত

জয় শাহর আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ায় অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেন, জয় রাজনীতিবিদ না হয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান হয়েছেন যা অনেক রাজনৈতিক পদের চেয়েও বড়। 

ছেলের সাফল্যে বাবাকে শুভেচ্ছা! যদিও রাজনীতিবিদরা বলছেন অন্য কথা। মঙ্গলবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সমস্থা আইসিসির শীর্ষপদে বলেছেন অমিত শাহের ছেলে জয় শহ। সেই কারণে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে নয়, বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অনেকেই বলছেন, এটি শুভেচ্ছা নয়, কটাক্ষ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিডায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, 'অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ নন। তার বদলে আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছে। এই পদটি অধিকাংশই রাজনৈতিক পদের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুত্র সত্যই অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। ওঁর এই সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

প্রশংসা'

 

 

রাজনীতির অনেকেই মনে করেছেন, শুভেচ্ছা নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে কটাক্ষ করেই এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথায় অমিত শাহ তাঁর পোস্ট একবারই জয় শাহর নাম উল্লেখ করেনননি। তিনি অমিত শাহের পুত্র বলেই তাঁকে সম্বোধন করেছেন। বিজেপি যে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন এদিন মমতা খুব মসৃণভাবেই তাঁর উত্তর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিরোধীরা মাঝে মাঝেই জয় শহের উত্থান নিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ করেন। এদিন মমতাও সেই সুরে সুর মিলিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন।

এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জয় শাহকে সামনে রেখে অমিত শাহকে আক্রমণ করেছিলেন। জয় শাহের আর্থিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর আগে ২০২২ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমানে সুযোগ এসেছিল আসিসিতে যাওয়ার। কিন্তু সেই সময় তা হয়নি বলে মমতা অমিত শাহের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন , 'সৌরভ যোগ্য।' মমতা আরও বলেছিলেন , তিনি বিজেপি সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কোন আজ্ঞাত কারণে সৌরভকে পাঠান হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই সময়ই মমতা জয় শাহের নাম না করে বলেছিলেন, 'অন্য কারও জন্য জায়গা রেখে দেওয়া হল। আমি কারও নাম বলব না। নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য সত্যিকারের ক্রীড়াপ্রেমীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।' সেই সময়ই মমতা বলেছিলেন, সৌরভের জায়গায় শচীন তেল্ডুলকর থাকলেও তিনি সমর্থন করতেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।