সংক্ষিপ্ত

সোমবার বর্ধমানে তিনি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব বর্ধমান সফরের খবর রবিবার বেলায় জেলা প্রশাসন জানতে পারে। তারপরই শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি।

জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসির ছাড়া জলে পুজোর আগে বন্যার কবলে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান-সহ বাংলার আটটি জেলা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যা পরিস্থিতিকে 'ম্যান মেড বন্যা' বলে অভিযোগ জানিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন ডিভিসিকে। ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলায় সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি চাক্ষুষ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরীর জল কমতেই শুরু হয়েছে আর এক বিপত্তি। ধসে পড়ছে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর পাড়ের বাঁধাই বোল্ডার। যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এ নিয়ে এখানকার গ্রামবাসীদের বক্তব্য, 'ফের ভারী বৃষ্টিপাতের কথা ঘোষণা করেছে আবহাওয়া দফতর। ওই সময় ডিভিসির জলাধার থেকে যদি আবারও ব্যাপক জল ছাড়া হয়, তাহলে নদীর পাড় ধসে প্রচুর জল বহু গ্রামে ঢুকে যাবে। সেই রকমটা হলে বন্যা পরিস্থিতি এবারের থেকেও আরও ভয়ংকর রূপ নেবে।' তাই ধসে পড়া নদীপাড়ের বোল্ডার পিচিং অংশ দ্রুত বোল্ডার দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন জ্যোৎশ্রীরাম এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে, সোমবার বর্ধমানে তিনি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব বর্ধমান সফরের খবর রবিবার বেলায় জেলা প্রশাসন জানতে পারে। তারপরই শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি। জরুরি বৈঠক করেন- জেলাশাসক, পুলিশ সুপার -সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিকেলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ।

বিদুৎ দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা গৌতম দত্তও বৈঠক করেন। জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের শিয়ালি, মাঠ শিয়ালি কোরা, অমরপুর, মুইদিপুর, ফতেপুরের মত এলাকা জলে ভাসছে। একইভাবে বানভাসি হয়ে পড়েছে রায়না ২ ব্লকের গোতান অঞ্চলের বড়বৈনান-সহ কয়েকটি গ্রাম। জলের চাপে জামালপুরে দামোদর বাঁধের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেচ দফতর বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগানোয় জামালপুরে অনেক এলাকা বন্যাপ্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।

এই খবর নবান্নে পৌঁছনোর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জামালপুর এবং রায়নার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও ছিলেন। ওই দিন বিকেলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও স্বপন দেবনাথ।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অমিয়কুমার দাস রবিবার জানান, 'সোমবারের বৈঠকে জেলার মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কৃষি, সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা ছাড়াও প্রশাসনের সব দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। মূলত বন্যায় জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।