সংক্ষিপ্ত
ভয়াবহ মৃত্যুর পাশাপাশি স্বজনহারা মানুষদের গভীর শোক নিয়েও সমবেদনা ফুটে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতায়।
“এক অজানা দীর্ঘশ্বাস/ ব্যথা বেদনায় শোকাতুর নাভিশ্বাস। / এখনো ভাসছে ঘ্রাণে দুর্গন্ধ / লাশকাটা ঘরে ওরা ঘুমোচ্ছে/ একেবারে শেষঘুম।” — এভাবেই শুরু হল করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার মর্মান্তিক স্মৃতিচারণা। ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। এর মধ্যেই একাধিকবার দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত এবং নিহত মানুষদের দেখে আসার পর তাঁর লেখা কবিতায় ফুটে উঠল দুর্ঘটনার পরবর্তী চিত্র।
ভয়াবহ মৃত্যুর পাশাপাশি স্বজনহারা মানুষদের গভীর শোক নিয়েও সমবেদনা ফুটে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতায়। তিনি লিখেছেন, “আর কথা বলবে না/ আর তাকাবে না/ আর কোনও যন্ত্রণা নয়।/ হাত কাটা, পা কাটা, / দেহ কাটা - পুড়ে গেছে একেবারে শরীরগুলো / মাত্র পঞ্চাশ দিনের নব্য শিশু / ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে / মায়ের থানে, সাদা কাপড়ে। / কারো বা গলায় / শেষকর্মের পরিহিত একটি থান, / আঁখির জল সব শুকিয়ে গেছে / অনেক হাহাকারে হৃদয়ে দুর্ভিক্ষ / চোখের সামনে জ্বলছে চিতা।”
সমবেদনা, শোক, দুঃখ দুর্দশার পাশাপাশি এই বিরাট মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার দায়ের কথাও নিজের কবিতার মাধ্যমে প্রচ্ছন্নে ভাবার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, “মুহূর্তে উধাও জীবন্ত শরীর/ কাঁদবার জন্য পড়ে রইলো / স্বজন-হারানো আকাশ-বাতাস,/ সমুদ্র-পাহাড়, পরিবার/ আমরা একটু ভাবলাম কি?”
আরও পড়ুন-
Weather News: আবহাওয়ায় সুখবর! চলতি সপ্তাহ থেকেই বর্ষার পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
Gold Silver Price: শুক্রবার এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল সোনা-রুপোর দর, জেনে নিন লেটেস্ট আপডেট
আজ থেকেই দারুণ সৌভাগ্য পেতে চলেছেন ৬টি রাশি জাতকরা, বুধ গ্রহ থেকে তৈরি হচ্ছে গজকেশরী রাজ যোগ