সংক্ষিপ্ত
বাংলায় লগ্নি টানার উদ্দেশে গত ৯ দিন ধরে বিশ্বের দুই দেশের মোট তিনটি শহরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন একাধিক বানিজ্য বৈঠকে।
বাংলায় লগ্নি টানার উদ্দেশে গত ৯ দিন ধরে বিশ্বের দুই দেশের মোট তিনটি শহরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন একাধিক বানিজ্য বৈঠকে। অবশেষে ১১ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্পেনের মাদ্রিদে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বার্সেলোনা হয়ে দুবাই যান তিনি। ২২ সেপ্টেম্বর শেষ হয় সফর। বিদেশ সফর অত্যন্ত সফল বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, 'এত সফল কর্মসূচি আমি খুব কম দেখেছি।' একই সুরে নবান্নও মঙ্গলবার জানিয়েছে বিদেশি বাণিজ্যিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে বাংলার যথাযথ বিপণন করা সম্ভব হয়েছে। কোন কোন সংস্থা কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলায় আসছে সেবিষয়ও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মাদ্রিদের বাণিজ্য সম্মেলনে ৩৭টি বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপস্থিত ছিল। বার্সেলোনায় বানিজ্য সম্মেলনে যোগ দেয় ৫৪টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। দুবাইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাণিজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন ১৩৫টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। এইবারের সফরে মোট ২২৬টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই তিন শহরের বানিজ্য সম্মেলনে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থান ঠিক কীভাবে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত তাও ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন বাংলার পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। বাংলায় বিনিয়োগ মানে লাগোয়া দেশগুলির বাজারও ধরার সুযোগ। পাশাপাশি ধরাছোঁয়ায় আসবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিও। বাংলায় বিনিয়োগের মাধ্যমে খুলে যাবে ভারত-মায়ানমার, বাংলাদেশ-চিন অর্থনৈতিক করিডোরও।
এই সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন মুখ্য উপচেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের প্রধান সচিব বন্দনা যাদব-সহ বাংলার এক ঝাঁক প্রথম সারির শিল্পপতি। এছাড়া ছিলেন, কলকাতার তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান ক্লাবের কর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এরাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী দুবাইয়ের বহুজাতিক সংস্থা। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার একটি টুইটও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠক বাংলার জন্য যথেষ্ট ফলদায়ী হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি ওই পোস্টে জানিয়েছেন,'এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা উঠে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হল নিউটাউনে একটি বিশ্বমানের মল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।। এছাড়া লুলু গ্রুপ খুচরো আউটলেটগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব বাংলার পণ্যকে বিশ্বব্যাপী প্রচার নিয়ে আসার কথাও বলেছে।'
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু শপিং মল নয়, রাজ্যে আরও একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী লুলু গ্রুপ। মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, পোল্ট্রি, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে করতে চায় এই সংস্থা। উল্লেখ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে লুলু গ্রুপের বিনিয়োগ থাকলেও বাংলায় এই প্রথম বিনিয়োগ করতে চলেছে তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এরাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী দুবাইয়ের বহুজাতিক সংস্থা। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার একটি টুইটও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠক বাংলার জন্য যথেষ্ট ফলদায়ী হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি ওই পোস্টে জানিয়েছেন,'এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা উঠে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হল নিউটাউনে একটি বিশ্বমানের মল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।। এছাড়া লুলু গ্রুপ খুচরো আউটলেটগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব বাংলার পণ্যকে বিশ্বব্যাপী প্রচার নিয়ে আসার কথাও বলেছে।' মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু শপিং মল নয়, রাজ্যে আরও একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী লুলু গ্রুপ। মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, পোল্ট্রি, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে করতে চায় এই সংস্থা। উল্লেখ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে লুলু গ্রুপের বিনিয়োগ থাকলেও বাংলায় এই প্রথম বিনিয়োগ করতে চলেছে তাঁরা।