সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন,'ওরা মহুয়াকে সরাতে চাইছে। ওরা বোকা। ও এতদিন সাংসদের ভিতরে বলত এবার আবারও বাইরে বলবে।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বব্দ্যোপাধ্যায় এবার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি বলেন , মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এটি তাঁকে নির্বাচনের সাহায্য করে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভায় সংক্ষিপ্ত ভাষণে এই কথাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই বক্তব্যের পর মহুয়া এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।

নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন,'ওরা মহুয়াকে সরাতে চাইছে। ওরা বোকা। ও এতদিন সাংসদের ভিতরে বলত এবার আবারও বাইরে বলবে। ভোটের তিন মাস কাবি। তখন এই সব কাজ করছে বিজেপি।' এছাড়াও মমতা বিজেপিকে নিশানা করেন মেট্রোর রঙ গেরুয়া করার জন্য। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, সমস্ত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গেরুয়া রঙ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে । তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ মানে না।

অন্যদিকে এথিক্স কমিটির বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস মহুয়া মৈত্রের ওপর গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীর করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের সাংসদ। ঘুষের বিনিময়মে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসাদ পদ খারিজের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব পাঠান হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, দর্শন হিরনন্দানির থেকে টাকা নিয়ে মহুয়া মৈত্র সাংসদে একের পর এক প্রশ্ন করেছিলেন। সংসদীয় অ্য়াকাউন্টের লগইন আইডি আর পাশওয়ার্ডও শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ মহুয়া সংসদে ক্রমাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আদানি ইস্যুতে আক্রমণ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে হেনস্থা করছে বিজেপি। মহুয়ার মুখ বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ

তর্ক বিতর্কের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে ১ বছর রাজ্যপালের, মমতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট কথা সিভি আনন্দ বোসের

Crime News: স্বর্ণব্যবসায়ীর মাথা লক্ষ্য করে গুলি দুষ্কৃতীদের, জাতীয় সড়ক থেকে লুঠ প্রচুর টাকা

২১ জুলাইয়ের মমতার সভাস্থলেই অমিত শাহের জনসভা? ২৯ নভেম্বর বিজেপির সভা নিয়ে রায় আদালতের