সংক্ষিপ্ত
সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আসানসোলের সভা থেকে মোদীর সমালোচনা করেন।
সন্দেশখালি ইস্যুতে নির্বাচনী প্রচারে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদের হয়ে প্রচার সভা করেন মমতা। সেখানেই চড়া সুরে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন মমতা। শুক্রবারই সন্দেশখালি থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই ও এনএসজির বোমস্কোয়াড। তিনি বলেন, এখন রাজ্য়ের এমন অবস্থা যে একটি চকলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই এনআইএ, এনএসজির মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তৎপর হয়ে ওঠে। তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে যুদ্ধ হচ্ছে। পুলিশকে জানানো হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, অভিযানের কথা পুলিশকে জানান হয়নি। একতরফা হয়েছে। কেউ জানে না কোথা থেকে কী পাওয়া গিয়েছে। হয়তো আগে থেকেই নিজেরাই ওখানে রেখে এসেছে। তিনি আরও বলেন, 'আজকে শুনলাম সন্দেশখালির বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা জমা রয়েছে। মনে করছে বোমা রেখে চাকরি খেয়ে জিতে যাবে।' নিয়োগ দুর্নীতির রায় নিয়ে মমতা বলেন, আসানসোল ও সংলগ্ন এলাকায় শিল্প হবে। বাংলার এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। তিনি চাকরি যাওয়া নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'চাকরি তো দেয়নি। কিন্তু চাকরি কেড়ে নেয়। যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াব আমি ও আমার সরকার।'
সিবিআই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। পাসাশাপাশি শাহজাহানের প্রয়োজনীয় নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছিল। অস্ত্রের সম্ভারের মধ্যে ছিল বিদেশি অস্ত্র। পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছিল। ছিল প্রচুর গোলাবারুদ। জানুয়ারি মাসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের টিম রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয়। সেইসময় ইডির ওপর চড়াও হয় একদল উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল শাহজাহান। ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তারপরই সিবিআই-এর হাতে রয়েছে শাহজাহান। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।
কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা এদিন বলেন, আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করে দেবে বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু প্রয়োজনী টাকা দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসে ৬০ হাজার টাকা তাঁর সরকার দেবে পরে আরও ৬০ হাজার টাকা দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। তিনি আরও বলেন, প্রেশার , সুগারের মত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দামও মোদী সরকার চুপচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোট মিটে গেলেই কেন্দ্র সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেবে।