সংক্ষিপ্ত
নিজের চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, গোটা দেশে পুজোর ভোগ হিসাবে এই চালের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় এবং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইনের মতো উপকূলীয় দেশে গোবিন্দভোগ চালের বিপুল চাহিদা।
বিশেষ আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মমতা লেখেন রাজ্যের বিখ্যাত গোবিন্দভোগ চালের উপর বাসমতীর মতো ২০% শুল্ক ছাড় যেন দেওয়া হয়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে গোবিন্দভোগের মতো প্রিমিয়াম ধানের জাতগুলিতে ২০% শুল্ক আরোপের কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত তার রপ্তানিকে খারাপভাবে প্রভাবিত করেছে।
উল্লেখ্য, নিজের চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, গোটা দেশে পুজোর ভোগ হিসাবে এই চালের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় এবং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইনের মতো উপকূলীয় দেশে গোবিন্দভোগ চালের বিপুল চাহিদা। ফলে ওই দেশগুলিতে গোবিন্দভোগ রফতানিতে উৎসাহ দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। গোবিন্দভোগ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় উৎপাদিত হয় এবং এটি ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভৌগলিক সনাক্তকরণ ট্যাগ দেওয়া হয়েছে এই চালকে।
দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হচ্ছে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ বহিঃশুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে। এরপরেই শাণিত ভাষায় মমতা কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লিখেছেন, এর ফলে আমাদের কয়েক বছরের লাগাতার প্রয়াসের পরেও এই চাষ মার খাচ্ছে। সরকারের এই নীতির ফলে কৃষকের রোজগার মার খাচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যে কারণে গোবিন্দভোগ চালের উপর চাপানো রফতানি শুল্ক যদি মকুব করা যায় তাহলে তা প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "দুর্ভাগ্যবশত, ভারত সরকার চালের উপর ২০% শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে প্রিমিয়াম 'গোবিন্দভোগ' জাতের রপ্তানি ব্যবসা খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের চাহিদা এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে কৃষকদের আয়ের উপর।”
মমতা বলেন বাসমতির মতো আরেকটি জনপ্রিয় উচ্চ-মূল্যের সুগন্ধি ধানের জাতকে ২০% শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, এটা ভালো খবর। সুতরাং, যে যুক্তিতে বাসমতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, প্রিমিয়াম সুগন্ধি জাত গোবিন্দভোগ চালকেও ব্যবসার ক্ষতি এড়াতে আগামীতে রপ্তানির উপর ২০% শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত বলে তিনি যোগ করেছেন।
মমতার দাবি, চাহিদা সত্ত্বেও আবগারি শুল্কের জেরে এর ব্যবসা মার খাচ্ছে। ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন কৃষকেরা। কারণ, চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে গোবিন্দভোগ চালের উপর ২০ শতাংশ আবগারি শুল্ক চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে বিদেশে এই চাল রফতানিতে মার খাচ্ছে রাজ্য। এমনকি, কৃষকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চেন্নাই সফরে অন্য মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যপালের বাড়িতে বাজালেন সেন্ডা মেলম বাজালেন
গুজরাটে সপ্তমবার সরকার গঠনে মরিয়া বিজেপি, ফিরে দেখুন গতবারের ভোট যুদ্ধের ফলাফল ও বর্তমান ছবি