নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২৫ সালে- অর্থাৎ গোটা বছরের কাজের দিশা দিতেই এই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৫ সাল নয়, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শুধু দলের নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগেও প্রশাসনের ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ নতুন বছরের প্রথম দিনেই বড় প্রশাসনিক বৈঠক। ২ জানুয়ারি নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা। প্রশাসনিক কর্তাদের এই বৈঠকে রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরের বিভিন্ন সরকারি কার্জের পর্যালোচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
১ জানুয়ারি বুধবার। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২৫ সালে- অর্থাৎ গোটা বছরের কাজের দিশা দিতেই এই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। এই অবস্থায় আবাস যোজনার টাকা রাজ্য সরকার নিজেদের পকেট থেকেই দিচ্ছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তা নিয়েই নবান্নের সভাঘরের বৈঠকে বড় বার্তা দিতে পারেন মমতা। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
২০১১ সাল থেকে এই রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধঅ্যায়। টানা তিন বছর এই রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে। যদিও ভোট ব্যাঙ্ক দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ভোটব্যাঙ্কের ক্ষয় নেই তৃণমূলের। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তাই তিনি চতুর্থবার ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। কোনও রকম ঝুঁকি নিয়ে নারাজ। তাই দলের নেতাদের নিয়ে যেমন বারবার বৈঠক করছেন। তেমনই বারবার প্রশাসনিক বৈঠক করছে। ২০২৬ সালের নির্বাচন তৃণমূলের কাছেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
