সংক্ষিপ্ত
তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ২ মে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাল্টা কালো দিন বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
একদিনে তৃণমূলের শুভেচ্ছা অন্যদিকে বিজেপির কালো দিন। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনে রাজ্যেবাসীকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যিদেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন এটি রাজ্যের কালো দিন। ঠিক দুই বছর আগে বিজেপি ঝড় উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারলেও গোটা রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়জয়াকার ছিল। কিন্তু দুই বছর পরে সেই বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করেই দুই দলের সোশ্যাল মিডিয়ায় তরজা শুরু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০২১ সালের এদিনে বাংলার মানুষমা মাটি মানুষ সারা বিশ্বকে দেখিয়েছিল গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে। তবে মমতা আরও জানিয়েছেন, লড়াইয়ের আরও অনেক কিছু বাকি রয়েছে। তবে সেই লড়াইয়েতো তাঁরা জিতবেন বলেও দাবি করেছেন। তবে রাজ্যের গণতন্ত্র বজায় রাখার জন্য রাজ্যের মানুষ যে ভূমিকা নিয়েছেন সেই কথা স্মরণ করে মমতা রাজ্যবাসীকে স্বাগত জানান।
শুভেন্দু অধিকারীঃ
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীও এই বিশেষ দিনটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এটি রাজ্যের জন্য একটি কালো দিন। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ের পর শংসাপত্র নিতে যাওয়ার সময় তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোদ করেন তিনি। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা আর রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তিনি লম্বা টুইট করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুই বছরের শাসনকাল রাজ্যের ইতিহাসে একটি অভিশপ্ত দিন আর কালো দিন। পাশাপাশি বিজেপির কর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন শুভেন্দু।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪ বছরের বাম জমানার পতন ঘটিয়ে রাইটার্স বিল্ডিং-এর জখল নিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তারপর থেকে টানা তিন বার বাংলার মসনদ দখল করে আসছে। ২০১৬ সালেও তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিপক্ষ ছিল বাম ও কংগ্রেস জোট। কিন্তু সেই সময় থেকেই জোটের আসন কমতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তৃণমূলের আসন সংখ্যা। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই এই রাজ্যের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ -এই রাজ্যের প্রচারে এসেছিলেন। ঝোড় প্রচার আর বিপুল মানুষের জনসবায় জয়ের আশা দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেসের আসন ছিল শূন্য। রাজ্যের একক বিরোধী দল বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ
শর্ত সাপেক্ষে DA মিছিলের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের, শাসক দলের মিছিল নিয়ে প্রশ্ন পুলিশকে
'কেন্দ্রকে বাংলার মানুষের গায়ের জোর দেখাতে হবে', ইটাহের অভিষেকের সভায় জনজোয়ার
'ভগবান রামের পর এবার হনুমানের সঙ্গেও সমস্যা হচ্ছে কংগ্রেসের', কর্ণাটকের জনসভায় আক্রমণ মোদীর