সংক্ষিপ্ত
কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার বলেছিল অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করে এদিন মুক্তি দেওয়া হয় সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ওরফে পিয়ালিকেও।
জেল থেকে বেরিয়েই সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আদালতের নির্দেশে শনিবার দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে বেরিয়েই নিজের ছন্দে ফিরলেন তিনি। তিনি বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শেষ দেখে ছাড়ব। তাঁকে হারিয়ে দেখাব। এই লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হারবেন।'
কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার বলেছিল অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করে এদিন মুক্তি দেওয়া হয় সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ওরফে পিয়ালিকেও। মাম্পি বলেন, সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা নয়, সেখানে আন্দোলনকারী মহিলাদের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন মাম্পি। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দল মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছিল। আদালতে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাঁর পাশে থাকার জন্য বিজেপিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মাম্পি দাস সাদা কাগজে সই করে নিয়েছিলেন বলেও দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার সেই মামলারই শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। বিচারপতি মাম্পিকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন। অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মাম্পির বিরুদ্ধে মামলার ওপর স্থগিতাদেশও দেন তিনি।
সন্দেশখালির সক্রিয় বিজেপি নেত্রী। একাধিক ইস্যুতে তাঁর নাম উঠেছে। সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয়। মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিয়োতে, গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও।যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।