Jalpaiguri News: স্ত্রীকে সন্দেহ। জলপাইগুড়িতে প্রকাশ্যে হাড়হিম করা ঘটনা। বউকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Jalpaiguri News: ট্যাংরা, হুগলীর চন্দননগরের পর এবার জলপাইগুড়ি। স্বামী-স্ত্রীর জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া এলাকায়। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম নন্দিনী রাউত (৩০) এবং তাঁর স্বামী সানি রাউত (৩৫)। অভিযোগ, স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন স্বামী।
প্রতিবেশীরা জানান, এদিন সকালে হঠাৎই কান্নাকাটি ও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে তাঁরা ছুটে এসে দেখেন, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন নন্দিনী। একই ঘরের ভিতরেই সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় সানির নিথর দেহ। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। পেশায় রেলকর্মী সানি রাউত প্রায়ই স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন এবং তাঁদের দাম্পত্য কলহ ছিল প্রকাশ্য। এমনকী, গার্হস্থ্য হিংসার একাধিক ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। এই ঘটনার পর নতুন করে সেই পুরনো প্রশ্নটাই সামনে এসেছে—দাম্পত্য কলহ কি শেষ পর্যন্ত মৃত্যু পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল? যদিও পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনই কিছু স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, মৃত দম্পতির দুটি ছোট সন্তান রয়েছে, যারা এখন আত্মীয়দের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ আত্মহত্যার পাশাপাশি খুনের দিকেও নজর দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে এর আগেও ঠিক এমনই ভাবে এক সমাজকর্মী দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। দু’বছরের ব্যবধানে ফের একই ধরনের ঘটনায় শহরবাসীর মনে দগদগে করে তুলেছে পুরনো স্মৃতি। এই ঘটনা ঘিরে গোটা শহর জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বাচ্চা চুরির ঘটনার কিনারা করতে এসে বাচ্চা খুনের অভিযোগে গ্রেফতার খোদ মা! শুক্রবার কল্যাণী থানার সগুনা পঞ্চায়েতের তেলিগাছায় একটি বাচ্চা চুরির অভিযোগ ওঠে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নামে গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর পুলিশ ৬ মাসের শিশুর মা রুপা ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দফায় দফায় জেরা করার পর পুলিশ জানতে পারে যে, বাচ্চাটিকে মা রুপা ঘোষ মেরে পাশের বাড়ির ট্যাঙ্কিতে ফেলে রেখেছে। এরপরই মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনায় বাচ্চাকে খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কে কে জড়িত তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


