সংক্ষিপ্ত
একদল দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ‘সেবক হাউসে’ ঢুকে পড়ে। এরপর আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষী সহ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেন। শুধু তাই নয়, যদি আশ্রম না ছাড়া হয়, তাহলে খুন করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
ছেড়ে দিতে হবে গোটা আশ্রম। না হলে ফল ভালো হবে না। ধারালো ড্যাগার নিয়ে এই হুমকি দিতে দিতে রামকৃষ্ণ মিশনে ঢুকে পড়ল একদল দুষ্কুতী। রীতিমত সেখানে হামলা চালায় তাঁরা। জলপাইগুড়ি সেবক রোডে এই ঘটনাটি ঘটেছে। একদল দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ‘সেবক হাউসে’ ঢুকে পড়ে। এরপর আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষী সহ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেন। শুধু তাই নয়, যদি আশ্রম না ছাড়া হয়, তাহলে খুন করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো ড্যাগার নিয়ে আশ্রমে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সালুগারা নিবাসী প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় আশ্রমে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষী এবং বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেন ওই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের আশ্রম ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। নাহলে ফল ভালো হবে না বলে শাসানিও দেওয়া হয় তাঁদের।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের তরফ থেকে জলপাইগুড়ি আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ ভক্তিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত ৩:৩০ নাগাদ সেবক রোডের দ্বিতল ভবন ‘সেবক হাউসে’ হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ছিল বলে খবর। এরপর আশ্রম ভবন থেকে বেরনোর আগে কর্মীদের মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগপত্রে স্বামী শিবপ্রেমানন্দ মহারাজ আশঙ্কা করেছেন, আশ্রমে হামলা চালানো দুষ্কৃতীরা এলাকাতেই রয়েছে। সেই কারণে আগামী দিনে তাঁদের কর্মীদের জীবন সংশয় হতে পারে। পুলিশ যাতে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
উল্লেখ্য, আশ্রম থেকে বেরনোর আগে সেখানকার সবকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। সেই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।