সংক্ষিপ্ত
নিজের বক্তব্যের ধার বাড়াতে মদন মিত্র তাঁর নিজের বংশ পরিচয় দিয়ে দাবি করেন শুভাপ্রসন্নের এরম কোন পরিচয় নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়ের উদাহরণ টেনে ও মদন মিত্র দাওয়াই দেন শুভাপ্রসন্নকে।
শুভাপ্রসন্নকে এবার কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলেন মদন মিত্র। তাঁর কটাক্ষ এই গরমে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শুভাপ্রসন্নও তার ব্যতিক্রম নন। তবে কুকুরের ঘেউ ঘেউতে যেমন মানুষের কোনও জবাব দিতে নেই, তেমনই তিনিও শুভাপ্রসন্নর কথার কোনও জবাব দিতে চান না।
প্রসঙ্গত, শুভাপ্রসন্ন দাবি করেছেন ২০০৬ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ চিনেছেন তাঁর দৌলতে। এই দাবি পালটা মদন মিত্র বলেন শুভাপ্রসন্ন যথেষ্ট বয়স্ক ও সম্মানীয়। তাই প্রথম বার তাঁর এই কথার কোনও জবাব তিনি দিলেন না, কিন্তু পরের বার এরকম কথা শুনলে তিনি বিষ খেয়ে নেবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয় হয়েছেন, নিজের জোরে। সেখানে শুভাপ্রসন্নর এই দাবি অমূলক।
নিজের বক্তব্যের ধার বাড়াতে মদন মিত্র তাঁর নিজের বংশ পরিচয় দিয়ে দাবি করেন শুভাপ্রসন্নের এরম কোন পরিচয় নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়ের উদাহরণ টেনে ও মদন মিত্র দাওয়াই দেন শুভাপ্রসন্নকে। এক সময়ের দূর্দন্ডপ্রতাপ মুকুল রায় এখন অ্যালজাইমার্সের মতো অসুখে আক্রন্ত। তাই সময় থাকতে শুভাপ্রসন্নকে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার দাওয়াই বাতলান চির রঙিন এই তৃণমূল নেতা।
লাল পাঞ্জাবি গায়ে আর চোখে সানগ্লাস দিয়ে মদন বলেন, ‘আমি শুভাদার বিরুদ্ধে কিছু বলব না। উনি বয়স্ক মানুষ।’ এরপরেই আবার বলেন, ‘শুভাদা, আপনি কাক আঁকুন, ষাঁড় আঁকুন। ভাল কিছু তো আঁকতে পারেন না, উত্তরপাড়ায় অবন ঠাকুরের বাড়ি রক্ষা করতে পারেন না। পারলে আরশোলা আঁকুন, আমরা আরশোলাকেও পাখি বলব।’
শুভাপ্রসন্ন নিয়ে মদন বলে চলেন একাধিক বিস্ফোরক কথা। তিনি এও বুঝিয়ে দেন, এক কোটি শুভাপ্রসন্নকে একটা মুকুল রায়ের তুড়ি মেরে নাচানোর ক্ষমতা ছিল, সেই তাঁকে এখন হাগিস পরতে হচ্ছে।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে থেকেই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শুভাপ্রসন্ন। কলকাতা হোক বা পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলায় বামফ্রন্ট সরকার বিরোধী মমতা ব্যানার্জির প্রায় সমস্ত মিছিলেই দেখা যেত তাঁকে। তৃণমূল সরকারে আসার পরেও একাধিক মিটিং মিছিলে হেঁটেছেন শুভাপ্রসন্ন। কিন্তু সম্প্রতি কোথাও তাল কেটে গেছে মনে হচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন তিনি।
বর্তমান বিতর্কের সুত্রপাত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটিকে রাজ্যে নিষিদ্ধ করা নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের সাথে সহমত নন তিনি। বিতর্ক এতদূর গিয়েছে যে শুভাপ্রসন্নের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বোঝান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন চিত্রশিল্পী।