Nadia News: মেয়ের হত্যার বিচার এখনও মেলেনি। অধরা বহু দুস্কৃতী। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুশোক ভুলতে না পেরে এবার আত্মহত্যার চেষ্টা নিহত তামান্না খাতুনের মায়ের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Nadia News: বছর শেষের আগে মেয়ের মৃত্যুশোক ভুলতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা। মাস ছয়েক আগে নদীয়া জেলার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনে জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর শুরু হয় ঘাসফুল শিবিরের বিজয়োৎসব। অভিযোগ- সেদিনের সেই মিছিল থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে প্রাণ হারান রাস্তার ধারে খেলতে থাকা নাবালিকা তামান্না খাতুনের। তারপর পুলিশ-আদালত গড়িয়েছে অনেক জল। যদিও এখনও তামান্না খাতুন মৃত্যুর ঘটনায় অনেক অপরাধীই গ্রেফতার হননি। তারা বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? 

অভিযোগ, একমাত্র মেয়ের মৃত্যুশোক ভুলতে না পেরে এবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা নিহত তামান্না খাতুনের মায়ের। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, চলতি লছরের ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। সেইদিন কালীগঞ্জের মোলান্দিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় তামান্না খাতুনের। সেই ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। ১০ জনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিদের গ্রেফতার করা হয়নি। তারা এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই আতঙ্কে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তামান্নার মা। বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, রাতে ঘুমানোর আগে তামান্নার বাবা তাকে বেশি করে ঘুমের ওষুধ খেতে দেখে ফেলেন। এরপরই নদীয়ার পলাশী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে থেকে রাতেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তামান্নার। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতীশীল। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে তামান্নার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছিল তামোন্নাকে। কাঠগড়ায় ছিল তৃণমূলের স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। তামন্নার পরিবার বরাবরই সিপিএম সমর্থক। তামান্নার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ঘরছাড়া ছিলেন। মা তামান্নাকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেন । ভোট দিতেই তারা বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তাতেই অকালে ঝরে গেল একটি ফুলের মত প্রাণ। তারপর থেকেই তামান্নার মা বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। মামলাও লড়েছেন। কিন্তু আরও দুস্কৃতীরা অধরা থাকায় এবার নিজেকেই শেষ করে ফেলার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন তিনি। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।